সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ১৪ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি গর্তে ফেলে দেয় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
১৫অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকা হতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ছাত্রী উপজেলার রামচন্দ্রদী এলাকার মাটি কাটার শ্রমিকের মেয়ে। সে স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার ছাত্রী।
নিহতের বাবা আকতার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার ফজর নামাজ পড়তে আমরা সবাই ঘুম থেকে উঠি। একই সময় মেয়েও নামাজ পড়তে উঠে। নামাজের পর মেয়েকে খুজে না পেয়ে আশে পাশে খুজে বেড়ালেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে তাদের বাড়ির পাশে একটি গর্ত তার লাশ দেখতে পায়। মেয়েকে কে বা কারা হত্যা করে লাশটি গর্তে ফেলে দেয়।
আড়াইহাজার থানার গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আজহার উদ্দিন পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, নিহত একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার ভোরে কে বা কারা মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে তাদের বাড়ির পাশে একটি গর্তে লাশটি ফেলে দিয়ে যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেণ করা হয়।
তিনি আরও ধারণা করেন যে মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মাদ্রাসা ছাত্রী হত্যান্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।