সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম
ফতুল্লার লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় পরকিয়া প্রেমের টানে মামি শ্বাশুড়িকে নিয়ে ভাগ্নে জামাই উধাও। এই ঘটনাটি ঘটেছে ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় ভাড়া থাকেন শাহিন মিয়া। তার ছোট বোনের মেয়ে সীমা সীমা ও তার স্বামী বাবুল একই এলাকায় ভাড়া থাকে। শাহিনের ভাগ্নি সীমা ও তার স্বামী দুই মাস হয় গ্রাম থেকে ফতুল্লা আসছে। তারা দুইজনেই একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে। সীমার স্বামী বাবুলের সাথে একই গামের্ন্টসে চাকুরী করে মামী শ্বাশুড়ি স্বপ্না বেগম। তিনি শাহিনের স্ত্রী। শাহিন জামালপুর মেলান্দ থানাধীন এলাকার মৃত মফু মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামের শরীয়াহ মোতাবেক স্বপ্না বেগমকে বিবাহ করেছেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুই সন্তান রয়েছে। এক ৮ বছরের ছেলে স্বপন, ১২ বছরের মেয়ে সালমা আক্তার। সন্তানরা গ্রামের বাড়িতে থাকে।
শাহিন ও তার স্ত্রী ফতুল্লা বসবাস করে আসছে। শাহিন ইলেক্টনিক্স মিস্ত্রী। তিনি বিসিক এলাকায় চাকুরী করে আসছেন। ভাগ্নি জামাই মো. বাবুলের সাথে মামী শ্বাশুড়ি প্রতিনিয়ত একই রিক্সায় চলাচল করে তারা ডিউটিতে যায়। একপর্যায় তাদের মধ্যে পরকিয়া ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টি হয়। মাত্র দুই মাস হয় সীমা ও তার স্বামী বাবুল ফতুল্লায় আসেন। স্বপ্না বেগম বগুড়া জেলা ও থানাধীন এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে। শাহিন ও স্বপ্নারও ভালবাসা করে তাদের বিবাহ হয়েছে। এখন স্বামী শাহিনের ভাগ্নি সীমার জামাইর সাথে পরকিয়া করে স্বপ্না বেগম গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিউটির কথা বলে তারা পালিয়ে যায়। বাবুল ও তার মামী শ্বাশুড়ি স্বপ্না বেগম ১০ ফেব্রুয়ারী বেতন পায়। এই দুইজনেই বেতন পেয়ে ভালবাসার টানে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে শাহিন বলেন, আমার কোন অভিযোগ নাই, যাকে ভালবেসে বিয়ে করেছি সে দুই সন্তান রেখে চলে গেলো। আমি আর কোন দিনই তাকে ঘরে উঠাবো না। এদিকে, সীমা কান্না করে বলে আমিও এই লম্পটের সংসার করবোনা। আমি চাকুরী করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরে নতুন সংসার করবো। বিয়ের পর থেকেই এই লম্পট বিভিন্ন মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে। তা জেনে আমি তাকে নিষেধ করলে মারধর করতো। আমার শ্বাশুড়ির জন্য আমি কিছু বলতে পারিনি। তার অতি আদরে এই বাবুল নষ্ট হয়েছে। অবশেষে আমার ছোট মামীর সাথে পরকিয়া করে পালালো এই নেক্কার কাজ করে আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে মান খুন্ন করেছে।