সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভাংচুরের অভিযোগ ওঠেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এই হামলা ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আসা নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহামুদুর রহমান মান্না ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সহ অনুষ্ঠানে আসা ৩০ জন নেতাকর্মী এই হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনায় ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু এক বিবৃতিতে কঠোর ভাষায় তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ধিক্কার জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের স্বনামধন্য রাজনীতিবিদ মাহামুদুর রহমান মান্না এবং জাতীয় নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তাদের উপর এমন নগ্ন হামলা মেনে নেয়া যাওয়া না। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।
ছাত্রদলের তুখোর এই সাবেক নেতা শেখ মোহাম্মদ অপু বিবৃতিতে আরও বলেন, মাহামুদুর রহমান মান্না ছিলেন আমাদের মেহমান। মেহমানের উপর হামলা কোন সভ্য জাতি করতে পারে না। সরকার ভাল মানুষের উপর তাদের সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। এসব ঘটনার জবাব নিরপেক্ষ ভোটাধিকারের মাধ্যমে এদেশের জনগণ একদিন দিবে।
এদিকে জানাগেছে, ১৯ সোমবার বিকেলে রূপগঞ্জের রূপসী খন্দকার বাড়িতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেছেন জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন। অনুষ্ঠানে দর্শক সারিতে বসেছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার ও তার মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকার। মার-ই-য়াম খন্দকার বক্তব্যও রাখেন অনুষ্ঠানে।
অভিযোগ করা হয়েছে- এ সময় মঞ্চ থেকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলা হয় তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ই-য়াম খন্দকার, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর মান্নাসহ অনেককে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অনুষ্ঠানের ওই মঞ্চে থাকা চেয়ার টেবিল ও সাউন্ড সিস্টেম।
তৈমূর আলম খন্দকারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) তুহিন পারভেজ আলাল জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি কামনা, তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিন উপলক্ষে রূপসী খন্দকার বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টার মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমূর আলম খন্দকার, তার মেয়ে মার-ই-য়াম সহ অনেকেই। ওই সময়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। উপস্থিত লোকজনদের একের পর এক মারধর করতে থাকে। মঞ্চ থেকে নেতাদের ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া হামলাকারীরা সেখানে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আকস্মিক এ হামলায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এভাবে একটি হামলা ন্যাক্কারজনক বলে দাবি করেন তিনি।