সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন, দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠান হবে কিনা হবে এই নিয়ে একটি দ্বিধা বিভক্ত ছিল। অবশেষে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়ে গেল। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পূজা পালন করতে হবে। আমাদের অন্তরে শ্রদ্ধা থাকবে হবে। আত্মীয় স্বজনদেরকে বাসায় আপ্যায়ন করবো। বড় ধরনের কোনো জমায়েত করা যাবে না। একসাথে কে পূজামণ্ডপে ভীড় করব না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের আয়োজনে শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ১৮নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষ্যা শ্রী সত্য নারায়নণ জিউস মন্দির প্রাঙ্গণে শীতালক্ষ্যা সার্বজনীন পূজা কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়ে ২০০টি শিশুদের মাঝে উপহার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।
ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ এক থেকে দেড়শ বছর যাবৎ সবাই মিলেমিশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্য কোন দেশে এভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হয় না। ঈদ ও আমাদের অনেক হিন্দু বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে আসেন আনন্দ উৎসব করি। কিন্তু এবার করো না সবকিছু থামিয়ে দিয়েছে। ধর্মীয় ভাবগম্ভীর যাতে না কমে। নিরব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে উৎসব পালন করি।
তিনি আরোও বলেন, পূজামন্ডপগুলোতে অতিরিক্ত ভীড় এড়াতে ভলান্টিয়ার সার্ভিস চালু করতে হবে। আমি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের প্রতি আমার অনুরোধ পূজামণ্ডপগুলোতে যাতে ১০০% ভলান্টিয়ার সার্ভিস চালু থাকে। বিভিন্ন ধরনের উস্কানি ও গুজব ছড়ানো বা বিতর্কিত করার জন্য অনেক কিছু করবো। হয়তোবা এখানে করবে না কিন্তু অনেকেই জায়গাতেই দুষ্টুমি করার চেষ্টা করবে। এর জন্য ভলান্টিয়ার যাতে সিরিয়াস থাকে। এবার আমরা বিভিন্ন কারনে আনসার সদস্য নির্দিষ্টভাবে রাখেনি। যদিও আমিসহ বিভিন্ন জেলা প্রশাসক চেয়েছিলো কিন্তু তা রাখা সম্ভব হয়নি। সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে তা হয়নি। পূজামণ্ডপগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মার্কস সহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী রাখতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ সেরাওগী সুমনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভজন দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুণ কুমার দাস, জেলা হিন্দু সংস্কার সমিতির সভাপতি কমলেশ সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অঞ্জন দাস, সদর উপজেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল শুভ, বন্দরের সভাপতি তুলসী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জিতু দাস প্রমুখ।