সোনারগাঁও পৌরসভায় প্রবাসী ঢুকে গেছে, ওয়ান ভোটার ওয়ান ক্যান্ডিডেট: সিআইপি মামুন ভূঁইয়া

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একজন দানবীর হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি সিআইপি ও ফারিয়া নীট কম্পোজিটের মালিক ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন। বিশেষ করে সোনারগাঁও পৌর এলাকায় তিনি বেশ সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বলেছেন, পৌরবাসীর যে কোন প্রয়োজনে আমাকে ডাকলে আমি থাকবো।

২৩ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার গোয়ালদি এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুনের বাড়িতে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। ওই সময় আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছগীর আহাম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুনের মতামত জানতে চান।

তিনি বলেন, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে অনেকেই নির্বাচনের জন্য মাঠে নেমেছেন। অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন যেনো পাশে থাকি। আমি তো সবাইকে না করি না। সবাইকেই বলি আপনারা যদি চান তাহলে আপনাদের পাশে আমরা থাকবো। যদি আপনারা সবাই চান, সবার উপকার হয় তাহলে থাকবো নতুবা থাকবো না। আমরা পৌরবাসীর ভাল চাই, আমরা কোন রিটার্ন চাইনা। সেজন্য চিন্তা ভাবনা করলাম আমরা পৌরবাসীর ভাল কাজে থাকবো।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এখানে প্রবাসী আইসা ঢুকছে, একজন হইলো থানাবাসী আরেকজন হইলো পৌরবাসী, ওয়ান ভোট ওয়ান ক্যান্ডিডেট, এটা কেমনে হয়? এটা দেখলাম যে পৌরবাসীর এটা খুব পেইন হচ্ছে। পৌরবাসীর পেইন হচ্ছে বিধায় ডিসিশন নিলাম সবাইকে নিয়ে বইসা যদি পৌরবাসী চায় তাহলে আমরা থাকবো।

তিনি বলেন, আমরা ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তারপরও আমরা মানুষের জন্য থাকবো। আল্লাহ বলেছেন আগে তুমি নামাজ পড়ো, তারপরে মানব সেবা করো। মরবো তো একদিন ঠিকি, যখনই মরি, মানব সেবা করে যদি পাই, যদি বেহেসতে যেতে পারি তাহলে সবাইকে নিয়েই গেলাম, সমস্যা নাই।

এরপর তিনি জানান আগামী ৬ নভেম্বর পৌরবাসীকে নিয়ে বসা হবে। তিনি বলেন, পৌরসাবীর অনেকের বক্তব্য আমরা শুনবো। পৌরবাসীর কথা আলোচনা সব শুনবো। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকার লোকজন নিয়ে বসবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকাারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, অনেকেই জানেন আমি সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিউিটশনের ছাত্র। আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আপনার বাড়ি কোথায়? তখন আমি বলি সোনারগাঁয়ে। পৃথিবীর যত বড় অনুষ্ঠানই থাকুক না কেন কেউ যদি আমাকে বলে সোনারগাঁয়ে অনুষ্ঠান আমাকে যেতে হবে, আমার সমস্থ কিছু বাদ দিয়ে আমি এখানে আসি। আমার প্রাণের টানে আসি। আমি আপনাদের যেকোন ভাল কাজে আছি, আমাকে ডাকলেই আমি ছুটে আসবো ইনশাহআল্লাহ।

মেয়র প্রার্থী ছগীর আহাম্মেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, কবুল করার মালিক আল্লাহ।


মেয়র প্রার্থী ছগীর আহাম্মেদ তার বক্তব্যে ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সোনারগাঁয়ে কৃতি সন্তান দেশের অন্যতম শিল্পপতি সিআইপি ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন ভাইয়ের বক্তব্য স্পষ্ট যে উনি কি চান। উনি চান পৌরবাসী ভাল থাকুক। কারন পৌরসভার মেয়র দিয়ে উনার কিছু আসবে যাবে না, উনি না চাইলেও যেই পৌরসভার মেয়র হোক না কেন, যে দেশ থেকেই এখানে মেয়র হোক না কেন যদি পৌরবাসী চায়, তাহলে উনাদেরও মামুন ভুঁইয়া সাহেবদের জিজ্ঞেস করেই করতে হবে। এটাই এখানে ট্রেডিশন। যে কারনে উনার চাওয়া হলো পৌরবাসী ভাল থাকুক।

পৌরবাসীর সেবায় ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুনের অবদান তুলে ধরে ছগীর আহাম্মেদ আরও বলেন, সোনারগাঁও পৌরবাসী অতন্ত শান্তিপ্রিয় মানুষ। শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তিতে বিশ্বাসী না। যে কারনে পৌরবাসী কাকে দিয়ে ভাল থাকবে বিবেচনা করেই বিগত দিনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাকেও সহায়তা মামুন ভুঁইয়া সাহেব করেছেন এবং আগামী দিনেও কাকে নিয়ে নেতৃত্ব দিলে পৌরবাসী ভাল থাকবে, শান্তিতে থাকবে এটা চিন্তা করে হয়তো পৌরবাসীকে নিয়ে তিনি একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হবেন।

ছগীর আহাম্মেদ পৌরবাসীকে উদ্দেশ্য করে মামুন ভুঁইয়ার বক্তব্যের রেশ টেনে বলেন, উনি স্পষ্ট করেছেন পৌরসভার নেতৃত্ব দিবে পৌরবাসী, নট প্রবাসি। যার সাথে পৌরসভার মাটির সম্পর্ক আছে, নাড়ির টান আছে, যে পৌরসভার নাড়ি পোতা সন্তান সেই হবে আগামী দিনে পৌরসভার মেয়র।