সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বেশকটি মিডিয়াতে মহানগর ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মীর্জা তোফা আহাম্মেদের মাদকসেবনরত অবস্থার একটি ছবি প্রকাশিত হয়। ওই ছবিটির বিষয়ে শুরুতেই মীর্জা তোফা দাবি করে আসছেন ছবিটি এডিট করে এভাবে মিডিয়াতে কেউ দিয়েছে। অবশেষে মীর্জা তোফার দাবিই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। মহানগর ছাত্রলীগের নির্দেশনামতে ডোপ টেস্টে মীর্জা তোফার মাদকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ডোপ টেস্টে নেগিটিভ এসেছে। এমন প্রমাণপত্র মহানগর ছাত্রলীগের বরাবর দাখিল করেছেন মীর্জা তোফা আহাম্মেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান। রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মীর্জা তোফা ডোপ টেস্টের রিপোর্ট এবং তার পিতা-মাতার লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। ডোপ টেস্টে রিপোর্টে নেগিটিভ এসেছে।
জানাগেছে, এর আগে গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তোফা আহাম্মেদের বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছিল মহানগর ছাত্রলীগ। ওই নোটিশে তোফাকে নিয়ে মিডিয়াতে প্রচারিত ছবির ব্যাখ্যা ও প্রমাণ চাওয়া হয়। তার আগ পর্যন্ত ছাত্রলীগের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুর স্বাক্ষরে এই নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
নোটিশে উল্ল্যেখ করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তোফা আহাম্মেদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে মাদকসেবনের অভিযোগ প্রকাশিত হয়। সেই প্রেক্ষিতে তোফা আহাম্মেদকে নোটিশ জারি করা হলো যে, আপনি মাদকসেবী কিনা আগামী তিন দিনের মধ্যে ডোপ টেস্টের সার্টিফিকেট এবং উক্ত বিষয়ে আপনার বাবা মায়ের লিখিত দরখাস্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের দপ্তরে জমা দিতে হবে।
আরও উল্লেখ করা হয়- এই মর্মে বিষয়টি সমাধান কিংবা প্রমান না হওয়া পর্যন্ত তোফা আহম্মেদকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হল। ডোপ টেস্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পরেই আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান সংবাদ মাধ্যমকে ওইদিন বলেছিলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা একেএম শামীম ওসমান ও ছাত্র সমাজের আইডল একেএম অয়ন ওসমানের নির্দেশ রয়েছে যে, ছাত্রলীগের কোন কর্মীর বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ ওঠলে তা শোকজের মাধ্যমে ও তদন্ত কমিটি গঠন করা এবং দোষী হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা সেই লক্ষ্যেই তোফাকে নোটিশ জারি করেছি। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।