সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্র ঘোষিত যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থানায় থানায় কর্মসূচি পালন নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের তিন নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠেছে। একই ব্যানারে দুটি স্থানে কর্মসূচি পালনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও কঠোর সমালোচনা।
এতে পাল্টা কর্মসূচির আয়োজক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাউসার বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি- তিনি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ খোকনের নির্দেশেই কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২৭অক্টোবর ছিল যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ওইদিন বিকেলে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে থানা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হয় যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুুর রহমান স্বপন। পরিচালনায় ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়া।
একই দিন একই সময়ে উপজেলার শম্ভুপুরা এলাকায় থানা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হয় যেখানে আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছবি ব্যবহার করা হলেও তিনি সেখানে ছিলেন না। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার হোসেন এবং সদস্য নোবেল মীর ও আল আমিন। তাদের এই কর্মসূচির ছবি ফেসবুকে প্রচারিত হলে সেখানে নামে বেনামেও কঠোর সমালোচনা করা হয়। যুবদল নেতারা বলছেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি একই দিন একই সময় পৃথক দুটি স্থানে থানা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা।
তবে এ বিষয়ে ভিন্নমত কাউসার হোসেনের। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাউসার সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন নির্দেশনা দিয়েছেন থানায় থানায় কর্মসূচি পালন করতে। আমরা তার নির্দেশনাতেই এই কর্মসূচি পালন করেছি। এখন জেলার নেতারা যে নির্দেশ দিবেন সেই নির্দেশ পালন করাই দলীয় শৃৃঙ্খলা রক্ষা করা।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, একই ব্যানারে প্রতিটি ইউনিয়নে যদি কর্মসূচি হতো তাহলে আমি মনে করি আরো ভাল হতো। কারন এটা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচি। দোয়া মাহফিল তো প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মাদ্রাসায় মাদ্রাসায়ও করা যায়। থানা যুবদলের ব্যানারেই করা যায়। এক্ষেত্রে দলেরই উপকার হতো।
মুল অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বপন ভাই আমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেখানে যাইনি। কারন আমরা আগেই কর্মসুচি ঠিক করেছিলাম। তবে আমাদের মাঝে কোন রকম কোন্দল বা বিভক্তি নাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। তারাও ব্যানারে মান্নান সাহেবের ছবি দিয়ে প্রোগ্রাম করেছে আমরাও তার ছবি দিয়ে প্রোগ্রাম করেছি।