সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অবশেষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রাজাপুর হাজী আব্দুল কাদির বকস ঈদগাহ ময়দান ও কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও স্বপ্ন পূরণ করলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। খুব শিগ্রই ঈদগাহের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
১ নভেম্বর রবিবার সকালে ঈদগাহ ময়দান ও কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি।
উক্ত অনুষ্ঠানে রাজাপুর পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সমাজ সেবক সফি উদ্দিন মাদবর, আব্দুল ওহাব মাদবর, মজিবুর রহমান মাদবর, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলাম মাদবর, নুর মোহাম্মদ মাদবর, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, প্রস্তাবিত রাজাপুর ঈদগাহের মুতোওয়াল্লী মুফতি মোক্তার হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওমর ফারুক, দেলোয়ার হোসেন মাদবর, আব্দুল আলী, আওয়ামীলীগ নেতা ইফতেখারুজ্জামান শাহিন, জুয়েল, জামাল হোসেন, আক্তার হোসেন, সালেহ আহম্মদ প্রমুখ।
চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, বক্তাবলীর মানুষ আমাকে যতটুকু ভাল বাসা দিয়েছে তার প্রতিদান দেয়ার পর যেন আমার মৃত্যু হয়। আমি মৃত্যুর আগপর্যন্ত বক্তাবলী ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকতে চাই। আল্লাহ যেন আমাাকে সেই তৌফিক দান করেন। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে উপলব্দি করতে পেড়েছি বক্তাবলীর মানুষ আমাকে কতটুকু ভাল বাসেন। দলমত নির্বিশেষে আমার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তাই আমি বলতে চাই আল্লাহ যতদিন আমাকে বাচিয়ে রাখেন ততদিন মানুষের সেবা করে যাবো।
তিনি আরো বলেন, ঈদগাহ ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন করার আগে বিভিন্ন লোক মাধ্যমে আমাকে ফোন করে বলেছিল যাতে করে আমি আজকে উদ্বোধন করতে না আসি। কিন্তু রাজাপুরবাসীর ভাল বাসায় এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে এখানে এসেছি। তার পরও বলতে হয় ওয়াকফ জায়গার উপর ঈদগাহ মাঠ ও মাদ্রাসার কমপ্লেক্স নির্মিত হতে যাচ্ছে। এই জায়গার অন্য ওয়ারিশরা আপত্তি করছে। তার কারণ ওয়াকফকৃত অন্য জায়গা গুলো কিছু লোক দখল করে রেখেছে। ওয়াকফকৃত জায়গা গুলোতে কেউ যেন ব্যক্তিগত ভাবে দখল করে না রাখে। এই জায়গা শুধু সামাজিক কাজে যেন ব্যবহার করা হয়।