সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি নেতার জানাযাতেও আসলেন না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ সহ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিএনপি নেতার মৃত্যুতেও কার্পন্য দেখালেন জেলা বিএনপির নেতারা। যেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ঠিকিই ঢাকা থেকে ছুটে এসেছেন। এর আগে নিজের দুটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে জামিন পান তৈমূর।
সেখান থেকে ছুটে যান রূপগঞ্জে কেন্দ্রীয় ওলামাদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অসুস্থ্য মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনুকে দেখতে। সেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে যান নজরুল ইসলামের বাসা বাবুরাইল এলাকায়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসা নজরুল ইসলামের জানাযাতেও আসলেন না জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শুধুমাত্র জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে নজরুল ইসলামের জানাযায় দেখা গেল।
জানাগেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন নজরুল ইসলাম (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, স্ত্রী সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদে তার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ দেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।
পরিবার সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ বাসভবন বাবুরাইল এলাকায় বুকে ব্যর্থ্যা অনুুভব করেন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিলে যাওয়ার পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সৈরাচারী আন্দোলনেও তিনি ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।
কিন্তু বিএনপির রাজপথের একজন সক্রিয় নেতা নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির ২৬ জনের কমিটির মাত্র একজন সহ-সভাপতি মরহুমের জানাযায় উপস্থিত হন। আসেননি জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহআলম, সহ-সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, আজহারুল ইসলাম মান্নান, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লার মত শীর্ষ পদে থাকা নেতারাও নজরুল ইসলামের জানাযায় আসেননি।
এমনকি বিএনপির সাবেক ৪ এমপি রেজাউল করিম, আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দীনও আসেননি বিএনপি নেতার জানাযায়। যদিও এর মধ্যে আবুল কালাম চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে রয়েছেন।
তবে এসব নেতারা নজরুল ইসলামের জানাযায় না আসলেও মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি সরকার হুমায়ুন কবির, আইনজীবী ফোরামের নেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার নেতাকর্মী নজরুল ইসলামের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন।