সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় সানজিদা আক্তার অথৈ (১৪) নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মা বাবার অনুপস্থিতিতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে কি কারনে অথৈ আত্মহত্যা করেছে পরিবারের সদস্যরা তা জানাতে পারেনি।
৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ফতুল্লার মাহামুদপুর সাদু মাদবর রোডের ফরহাদ খানের ভাড়াটিয়া বাসা হতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সানজিদা আক্তার অথৈ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার মহেশপুর এলাকার আক্তার হোসেন সোহেলের মেয়ে।
নিহত সানজিদা আক্তার অথৈর মা পাপড়ী আক্তার জানান, বিগত ১০/১২ বছর আগে পারিবারিক সমস্যার কারনে পাপড়ীর স্বামী আক্তার হোসেন সোহেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আর ২০১৪ সালে এক মাত্র মেয়ে সানজিদা আক্তার অথৈকে নিয়ে মাহাবুবুল আলমের কাছে বিয়ে করে। কিন্তু অথৈ তার মায়ের নতুন সংসারে না থেকে ফরিদপুর নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। সে ফরিদপুর একটি হাই স্কুলের ৭ম শ্রেনীতে পড়ে। করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় ৫ মাস পূর্বে মায়ের সংসারে বেড়াতে আসে। পাপড়ীর ২য় সংসারের দুই সন্তানের সাথে হাসি খুশি ভাবে সময় পাড় করছিল।
তিনি আরো জানান, পাপড়ী সহ স্বপরিবার কক্সবাজার যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর সেই সুবাধে শুক্রবার সকালে পাপড়ী তার স্বামীকে নিয়ে কেনাকাটার জন্য ঢাকায় যায়।
বাসায় অথৈ ও পাপড়ীর আরো দুই সন্তানকে রেখে যায়। শুক্রবার দুপুরে পাপড়ীর ভাড়াটিয়া বাসার মালিক ফোন করে অথৈর আত্মহত্যার খবর দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন জানান, মা বাবার অনুপস্থিতিতে দুই ভাই বোনকে টিভি দেখতে দিয়ে অথৈ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে তার পরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।