সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫( সদর-বন্দর) আসনের জাতীয়পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সমস্যা সমাধানে আমাদের এক টেবিলে বসে পরিকল্পনা করতে হবে। মেয়র আইভীর সাথে কথা হয়েছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ময়লা, হকার, যানজট নিয়ে রাজনীতি হয়। আমি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে উন্নয়ন করতে চাইলে পিছন থেকে টান দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের পর আমি সংসদ সদস্য হয়েছি। এখনও আমার পরবর্তীতে সংসদ সদস্য কেউ হতে পারিনি, এর কারণেই আমাকে আবারও নির্বাচন করতে হয়েছে। আমি কখনও করোনাকে ভয় পাইনি। আমাদের মধ্যে দলাদলির কারণে নারায়ণগঞ্জে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। যতটুকু উন্নয়ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। একজন এগোতে চাইলে অন্যজন পাঞ্জাবী ধরে টান দেয়। কারো আচল টান দেয়। রাজধানীর পাশের এ জেলা নারায়ণগঞ্জে মূল সমস্যা আমাদের মধ্যে সমন্বয় নাই।
৮ নভেম্বর রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার উইজডম এটায়ার্সে নিজ নির্বাচনী আসনের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সদর-বন্দর আসনের এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকল সমস্যার সমাধান ঘটবে যদি আমরা এক টেবিলে বসতে পারি। এ শহরে এত রিকশা কেন চলবে। আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, আজকে আমি সকলকে নিয়ে বসেছি। আগামীতে ওয়ার্ড ও থানা নিয়ে বসবো। আমি করোনাকে ভয় পাই না। এটা প্রতিরোধে মনের জোরটাও বেশী।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভিক্ষ যাতে না লাগে সেজন্য ফ্যাক্টরি সকলে খুলে রেখেছেন। আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ পড়তে পারিনি, হজ্জ করতে পারিনি, সব কিছুই চালু রেখেছি বাসায় আদায় করেছি। শীত আসার সাথে সাথে অনেক দেশ লকডাউন। যার কারণে আমাদের আরএনজি সেক্টরে বন্ধ হয়ে গেছে। বদনাম হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনা ছড়িয়েছে, আসলে অনেকের আনাগোনা ছিল তার কারণেই করোনা ছড়িয়েছে। আজকে আমার অনেক জনপ্রতিনিধিই করোনামুক্ত হয়েছেন। খোরশেদ, শকু, কামরুল মুন্না অনেক কাজ করেছেন করোনাকালে। কিন্তু, নতুন করে আমার কামরুল হাসান মুন্না করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আমরা জনপ্রতিনিধি হয়েছি মানুষের সেবা করবো। জাহের সাহেবের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের খুব কাছে গিয়েছি। রাজনীতি কি ৭৪ সালে ছেড়ে দিয়েছি, উধ্বতন মহলের কথায় আমি সংসদ সদস্য। আপার নির্দেশনায় আমি নির্বাচন করেছি। অনেক রোগে ভুগছি। প্রায় ৩ হাজার মানুষের উদ্যোক্তা ৪০লাখ শ্রমিক আমার কোন শ্রমিক মারা যায় নি। আরএনজি সেক্টর যদি না চলতো শাড়ি-কাপড় থেকে শুরু করে কেউ চলতে পারতো না। অনেক হুমকির মধ্যে করোনার মধ্যে আমরা আরএনজি সেক্টর চালু করেছি। মেম্বারসহ সকল জনপ্রতিনিধিদের সবার কাছে অনুরোধ আখেরাত পেতে চাইলে শুরুতে যেভাবে কাজ করেছিলেন সেভাবে কাজ করেন। আমরা প্রতিটা ওয়ার্ড এ ভলান্টিয়ার তৈরি করেছিলাম, কেউ অনাহারে থাকেনি, আর ২ টা মাস আপনারা সেভাবে কাজ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বন্দর ইউএনও শুক্লা সরকার, বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লা সানু, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, মুছাপুরের চেয়ারম্যান মাকসুদ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, সাঈফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, আব্দুল করিম বাবু, ঝন্টু সরকার, আফজাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, বন্দর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন প্রমুখ।