সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির মাঝে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। পৌরসভার পাশের একটি ইউনিয়ন যেটি সনমান্দি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় ও আলোচনায় রয়েছেন ৪জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী। বছর খানিক সময় ধরেই তারা ছোট ছোট কর্মকান্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী আওয়াজ তুলেছেন। একই সঙ্গে এখানকার বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ পরিষদের নানা কর্মকান্ডের ছলে আবারো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেই বিষয়টি তিনিও স্পষ্ট করেছেন। তার কর্মীসমর্থকরাও প্রচারণায় নেমে গেছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সামনের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক চাইবেন এই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাহাবউদ্দীন সাবু। তিনি ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী মাঠ গুছানোর কাজে নেমেছেন বলে অনেকেই সান নারায়ণগঞ্জকে জানিয়েছেন। তার পক্ষের লোকজনও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের কারনে তিনি নৌকা প্রতীক না পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। তুমুল লড়াই করলেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি।
কারন হিসেবে অনেকেই বলছেন- গত নির্বাচনে এখানকার বিএনপির নেতারা আগেই নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর কাছে ম্যানেজ হয়েছিলেন। উপজেলার সবগুলো ইউনিয়নে ধানের শীষের প্রার্থী দিলেও এখানে রহস্যজনক কারনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। অথচ এই ইউনিয়নই উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের বাড়ি। নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিএনপির অধিকাংশ ভোট পেয়েছিলেন নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ। কারন এখানে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সাবুর শক্ত অবস্থান। তৃন্যমুল তার পক্ষ থাকলেও তিনি নৌকা প্রতীক পাননি। যে কারনে বিএনপির উপর ভর করেই বিজয়ী হয়ে যান জাহিদ হাসান জিন্নাত। নির্বাচনে অনেক বিএনপি নেতার বাড়িতে উঠান বৈঠক ও বিএনপির পদধারী বহু নেতাকর্মীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন যেসব প্রচারণার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল।
একইভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় পুরোদমে নেমেছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। তার প্রয়াত বড় ভাই আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমানও এখানে নির্বাচনে করে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার নির্বাচনী মাঠ গুছানোর কাজে নেমেছেন নজরুল ইসলাম। সান নারায়ণগঞ্জের অনুসন্ধানে জানাগেল স্থানীয় রাজনীতির পাশাপাশি নজরুল ইসলামের যাতায়াত রয়েছে নারায়ণগঞ্জের শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতেও। জেলার প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে তাকে প্রায়শই দেখা যায়। কেউ কেউ বলেছেন আগামী নির্বাচনে নিজেকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতেই তিনি জেলায় সময় দিচ্ছেন।
এ ছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন শ্যামলী চৌধুরী। যিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করেছিলেন। নির্বাচনে তার ভরাডুবি হলেও বছর খানিক সময় ধরে তিনি এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তিনি গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। তিনিও দাবি করছেন আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চাইবেন। তার শ্বশুর দলিল লেখক জসিম উদ্দীন চৌধুরী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে রয়েছেন।