সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। আবার সম্ভাব্য তিন মনোনয়ন প্রত্যাশি নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করলেও তারা নির্বাচনী মাঠে নেই। তবে এখানে বিএনপির কোন শক্ত প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন নাগরিক কমিটির প্রার্থী ডালিয়া লিয়াকত। কারন হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীদেরই দাবি- বিএনপির নেতাকর্মী কর্মী সমর্থকরা কখনই নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিবে না। আর যদি বিএনপি এখানে কোন প্রার্থী না দেয় তাহলে পুরো সুবিধা পাবেন নাগরিক কমিটির প্রার্থী ডালিয়া লিয়াকত।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, সোনারগাঁও পৌরসভার আগামী নির্বাচনে পৌর নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে ডালিয়া লিয়াকতের নাম ঘোষণা করেছেন বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান ও সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মোল্লা। এই নাগরিক কমিটিতে রয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারা ইতিমধ্যে ডালিয়া লিয়াকতের পক্ষে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণায়।
এদিকে গত নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন শফিকুল ইসলাম নয়ন ও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রুমা আক্তার পোস্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন। তবে তারা প্রকাশ্যে এখনও কোন নির্বাচনী প্রচারণা সভা সমাবেশ উঠান গণসংযোগে নামেননি। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এখানে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির তেমন কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই। অনেকেই বলছেন দল যদি নির্বাচনে আসে সেক্ষেত্রে একজনকে নামকাওয়াস্তে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামানো হবে। তবে যদি রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মত এখানেও বিএনপির প্রার্থী না দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে পুুরো সুবিধা পাবেন ডালিয়া লিয়াকত।
বিএনপির অনেক নেতারা জানিয়েছেন, বিএনপির যে তিনজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে তাদের কেউই শক্ত প্রার্থী নয়। এর কারন হিসেবে অনেকেই বলেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আবু জাফর চাচ্ছেন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে মোশারফ হোসেনকেই ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হোক। আবার মান্নানের লোকজন ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন নয়নের পক্ষে। ফলে মোশারফ হোসেন প্রার্থী হলে মান্নানের লোকজনই বিরোধীতা করে নির্বাচন করবেন। আবার নয়নকে প্রার্থী করা হলে জাফরের লোকজন বিরোধীতা করবেন। আর রুমা আক্তারকে মনোনয়ন দেয়া হলে কেউই নির্বাচনী মাঠে নামবেন না। ফলে এখানে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও ডালিয়া লিয়াকত সুবিধা পেতে যাচ্ছেন আবার নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকলে পুরো সুবিধাটা পাবেন ডালিয়া লিয়াকতই। কারন বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের ভোট নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারন এখানে বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকদের বিপুল ভোট রয়েছে।