সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। ১১ নভেম্বর বুধবার উপজেলা যুবলীগের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে যোগদান করেননি সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার ও তার অনুগামী লোকজন। বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ খানের কবর দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি বক্তব্য দেন আলী হায়দার। ওই বক্তব্যের পর সভাপতি নান্নু বলেছিলেন, যুবলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রে অভিযোগ করবেন। তার পর থেকে দুজনের মধ্যে দা কুমড়া সম্পর্ক।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, প্রায় এক বছর যাবত সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য হয়ে ওঠেছে। সেক্রেটারি আলী হায়দার রাজনীতি করছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সঙ্গে এবং সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু রাজনীতি করছেন সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সঙ্গে। দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী তারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সঙ্গে রাজনীতি করার নিয়ম থাকলেও তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দুজনই দুই নেতার পেছনে রাজনীতি করছেন। যার ফলে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেও যুবলীগের রাজনীতিতে বিভক্তি দেখা যায়।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগে নেতা অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান রবিন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম রুমা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল্লাহ বাবু, কাউন্সিলর আলী আকবর, সাবেক কাউন্সিলর লায়ন মোশারফ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রজম্মলীগের সভাপতি আরমান মেরাজ প্রমূখ।