সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নির্মাণ কাজের জন্য সরকারী রাস্তা ও ড্রেন সিস্টেম বালি দিয়ে বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে সোহেল নামের এক ব্যাক্তি। সরকারী রাস্তা ও ড্রেন সিস্টেম খুলে দেওয়ার অনুরোধ করায় ১৫ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টায় আব্দুল আউয়াল চিশতি নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও আলাতুন নেছা জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী মোঃ আল-আমিন চিশতিকে মারধর করেছে সোহেল নামের ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় মোঃ আল-আমিন চিশতি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহেল সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে বিবাদী করে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগের বরাত দিয়ে মোঃ আল-আমিন চিশতি জানান, আমি আব্দুল আউয়াল চিশতি নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা আলাতুন নেছা জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী। বিগত কিছুদিন যাবত মরহুম আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহেল সরকারী ড্রেন সিস্টেম বালি দিয়ে বন্ধ করে নির্মাণ কাজ করার জন্য মালামাল আনা নেয়ার কাজ করে আসছে।এতে এলাকার সরকারী রাস্তা সহ মাদ্রাসার সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আমি সোহেলকে ড্রেনটি খুলে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করি।
এতে সোহেল আমার কথার তোয়াক্কা না করে তার খামখেয়ালীপনায় নির্মাণ কাজ ও মালামাল আনা নেয়ার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। রবিবার সকাল ৯টায় আমি পুনরায় সোহেলের দেখা পেয়ে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ করতে গেলে সোহেল আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাথারি কিলঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখমের সৃষ্টি করে। আমার সাথে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও হাতে থাকা একটি ঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। শুধু এতেই ক্ষান্ত না হয়ে বিবাদী আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লোহার রড নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সহ আমার মসজিদের ইমাম সাহেব ও ছাত্ররা ছুটে আসে এবং আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হান্নানুর রফিক রঞ্জু জানান, এটা এই এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি। পানি নিরসনের ব্যবস্থা করে যেন স্বাভাবিক জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করে দেয় প্রশাসন। একই সাথে যারা ড্রেনের কাজ বন্ধ করেছে এবং হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।