সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দৈনিক বিজয় পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা শেখ ইলিয়াস হত্যার মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রূপান্তরসহ পলাতক খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সম্মিলিত সাংবাদিক জোট আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন খান কমলের সভাপতিত্বে দৈনিক বিজয়
পত্রিকার সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু ও বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী’র সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন দৈনিক ডান্ডিবার্তা’র সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল, ডিবিসি চ্যানেল ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রাজু আহম্মেদ, বন্দর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা জিএম মাসুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এবিএম মাহফুজ আলম জাহিদ, দৈনিক অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকার সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু, দৈনিক নগর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল রিয়েল রাজা, ফতুল্লা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, প্রেস নারায়ণগঞ্জ ২৪ডট কম’র সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, এনএএন টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার আহমেদ পারভেজ শরীফ, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ নেয়ামতউল্লাহ চুন্নু, দৈনিক সংবাদ পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সৌরভ হোসেন, ফতুল্লা মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আনিসুজ্জামান অনু,বন্দর মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান খান বাদল,যুগান্তর স্বজন সমাবেশ
নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা’র সভাপতি জাহাঙ্গীর ডালিম,পিপলস টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মিজানুর রহমান,বন্দর প্রেসক্লাব নাসির উদ্দিন,বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল বন্দর থানা শাখা’র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক বসিরউদ্দিন খান রতন ও দৈনিক অগ্রবাণী প্রতিদিনের সহ-সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যোদ্ধা’র সম্পাদক মামুনুর রশীদ সুমন,নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল্লাহ মাহমুদ টিটু, মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আজমীর ইসলাম,দেশ টিভি’র নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসেন,বন্দর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম শাহিন,সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,সদস্য ডালিম হায়দার,বন্দর নিউজ ২৪ ডটকম’র সম্পাদক শেখ আরিফুল ইসলাম,হিউম্যান রাইটস সোসাইটি ফতুল্লা শাখা’র সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন প্রধান,নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম আক্তার হোসেন,সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি শেখ মনিরহোসেন,রূপগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব আতাউর রহমান সানি,ফতুল্লা প্রেসক্লাব
নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম,বন্দর থানা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ ফিরোজ খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাকির আহমেদ বাপ্পী,অর্থ সম্পাদক নূর এ আজাদ,যুগান্তর স্বজন সম্পাদক- সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন,ভিকটিম সার্পোট হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বন্দর থানা শাখা’র সভাপতি মঞ্জুর হাসান মুন্না, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন,এম নিউজ বিডি’র এডমিন মিতু মোর্শেদ, বন্দর প্রেসক্লাবসহ-সভাপতি বন্দর প্রেসক্লাব মোঃ কবীর হোসেন,সদস্য দীন ইসলাম দীপু,দৈনিক যুগের চিন্তার স্টাফ রিপোর্টার মোখলেসুর রহমান তোতা,নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক
ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন,অপরাধ রির্পোট পত্রিকার
সাংবাদিক কামরুল হাসান সুমন,রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য বিপ্লব হাসান, দৈনিক সংবাদচর্চা’র স্টাফ রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম,প্রমীলা ফটো সাংবাদিক শিউলি আক্তার নিলি,বাংলা সংবাদের সোনিয়া হক,ইনসাফ পত্রিকার সাংবাদিক শারমিন আক্তার,খবর নারায়ণগঞ্জ ডটকম’র নির্বাহী সম্পাদক মশিউর কানন,সম্পাদক রির্পোট নারায়ণগঞ্জ শরিফুল ইসলাম সুমন,বাংলা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সাজু হোসেন,নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক বদরুজামান রতন,দৈনিক সচেতন পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মুক্তার হোসেন,দৈনিক সবার কণ্ঠ স্টাফ রিপোর্টার সালমান হোসেন রনি,দৈনিক ভোরের চেতনা জেলা প্রতিনিধি নুরে আলম আকন্দ,চ্যানেল জিরো’র ক্যামেরাপার্সন
আকরাম হোসেন,দৈনিক রুদ্রবার্তা’র সাংবাদিক শ্যামল সাহা,বন্দর থানা যুবলীগ
নেতা মাসুম আহম্মেদ প্রমুখ।
কর্মসূচীতে বক্তৃতাকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল বলেন,সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে আজকে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি অংশকে পদে পদে নিগৃহিত হতে হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে যেনো মাথায় উঠে যাচ্ছে। বিএনপি’র শাসনামলে জনৈক এমপির ইশারায় আমার বিরুদ্ধেও অসংখ্য মামলা হয়েছে। এখনো হয়। এর সবই একশে শ্রেণীর চাটুকারদের ইশারায় হয়ে থাকে। আজকে এই অনশণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের
একটাই কারণ আমার সহকর্মীদের পাশে আজকে আমি দাড়িয়েছি আগামীতে আমার বেলায়ও
তারা দাড়াবে। পেশাদারীত্বের এটাইতো নিয়ম হওয়া উচিত। মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা নির্যাতিত আর খুন হবে আমরা ঘরে বসে থাকবো তা হতে পারেনা। আজকে
এই কর্মসূচীতে সাংবাদিকদের বৃহৎ একটি অংশ আসেনি এটাকে সাধারণ মানুষ ভাল
দৃষ্টিতে নেবে বলে মনে হয়না। এই অনৈক্য থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আমি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ইলিয়াস হত্যাকান্ডের বিচারের মধ্য দিয়ে
যেনো মাইলফলক সৃষ্টি হয়। প্রতিকী অনশন কর্মসূচি ও জোটের সভাপতি দেশ
রূপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মোবারক হোসেন খান কমল বলেন ইতিপূর্বে ইলিয়াছ
হত্যার প্রতিবাদে জেলা ও থানায় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসুচি সর্বস্তরের
সাংবাদিকদের নিয়ে পালন করেছি কিন্তু ইলিয়াছ হত্যার বাকি ৫ জন পলাতক
আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কোন ভুমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না এতে
আমরা নতুন কোন কর্মসূচি বা আলটিমেটাম দিতে চাচ্ছি না তবে আগামী ৭ দিনের
মধ্যে কোন আসামীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা না নিলে আমরা কর্মসূচি দিতে
বাধ্য হবো। পরিশেষে হাবিবুর রহমান বাদল নিহত ইলিয়াসের মা’কে পানি পান
করিয়ে অনশণ ভঙ্গ করেন।