সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসী হামলায় এবার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জামান প্রধান সহ ৪ জন গুরুত্বর জখম হয়েছেন। ওই সময় হামলাকারীরা জামান মেম্বার সহ তার কর্মচারীদেরকে বেদম পিটিয়ে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও ড্রেজারের বাঁশ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী চাঁনপুর স্কুল মাঠে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় বন্দর উপজেলার কান্দীপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব প্রধানের ছেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান ও সোনারগাঁ থানার বারদী এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে রিপন, তার বড় ভাই স্বপন ও একই এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে কামরুল আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আহত ইউপি মেম্বার জামান প্রধান বাদী হয়ে কিশোর গ্যাং লিডার মাছুম সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আহত মেম্বার জামান প্রধান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি একজন ইটবালু ব্যবসায়ী। ব্যবসা করার কারনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী মাছুম ও একই এলাকার সেকেন্দার মিয়ার ছেলে সিফাত র্দীঘ দিন ধরে আমার কাছে টাকা দাবি করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, টাকা পয়সা না দেওয়ার কারনে বিভিন্ন সময়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ২০ নভেম্বর শুক্রবার সকালে আমার কর্মচারী স্বপন রিপন ও কামু সাবদী থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কান্দীপাড়া আসার পথে উল্লেখিত সন্ত্রাসী মাছুম ও সিফাত ও তার ভাই সিয়ন একই এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে ইমন পিযার হোসেন মিয়ার ছেলে জয় ও জিন্নাত মিয়ার ছেলে মারুফসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন আমার ড্রেজার লাইনের বাঁশ খুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, ওই সময় আমার কর্মচারীরা বাধা প্রদান করলে ওই সময় উল্লেখিত আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে বেদম পিটিয়ে আহত করে ১৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে আমি সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ করলে হামলাকারীরা আরো উত্তেজিত হয়ে আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে বেদম মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় আমি বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি এবং এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।