সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নরসিংদী জেলায় অননুমোদিত কারখানায় গবাদি পশুপাখির নকল এন্টি-বায়োটিক ঔষুধ তৈরির দায়ে ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ওই সময় বিপুল পরিমান নকল ঔষুধ জব্দ করেছে। ২২ নভেম্বর রবিবার এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
তিনি জানান, ২২ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানাধীন গাবতলী উত্তরপাড়া সংলগ্ন জনৈক মোঃ আকরাম হোসেনের বাড়ীর ভিতর নেটার এগ্রো এন্ড এ্যাকোয়া ফ্যাক্টরীতে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১, সিপিএসসি এর অভিযানে অননুমোদিত কারখানায় গবাদি পশুপাখির নকল এন্টি-বায়োটিক ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে মোঃ শামীম হোসেন, মোঃ আলমগীর মিয়া ও মোঃ মহসিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় কারখানায় তৈরি অবস্থায় হাঁস-মুরগীর নকল এন্টি-বায়োটিক ঔষধ ৯ বোতল কোটিল-২৫ (৫০০ মিঃ লিঃ), ৬৫ বোতল কোটিল-২৫ (১০০ মিঃ লিঃ), ৪০ বোতল কোসিপ-২০০ (৫০০ মিঃ লিঃ), ১২০ বোতল কোসিপ-২০০ (১০০ মিঃ লিঃ), ৫৫ বোতল কু-কক্স (১০০ মিঃ লিঃ), ২৪০ প্যাকেট ক্যালসিমক্স ও ১ বিল ভাউচার এর ফাইল জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানাধীন গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকায় জনৈক মোঃ আকরাম হোসেন এর বাসা ভাড়া নিয়ে নেটার এগ্রো এন্ড এ্যাকোয়া’ নামক ফ্যাক্টরী চালিয়ে আসছিল। উক্ত ফ্যাক্টরীতে তারা কোরিয়ার তৈরি গবাদি পশুপাখির এন্টি বায়োটিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঔষধ নকল করে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে উৎপাদন করে আসছে। তারা সরকারী অনুমোদন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে অননুমোদিত কারখানায় ক্ষতিকর গবাদি পশুপাখির নকল এন্টি বায়োটিক ঔষধ উৎপাদন করে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বাজারজাত করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা উক্ত ফ্যাক্টরীতে ক্ষতিকর গবাদি পশুপাখির নকল এন্টি বায়োটিক ঔষধ সরকারি অনুমোদন ব্যতিত উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে বলে জানায় যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ এবং ক্ষতিকর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে অসাধু উপায় অবলম্বন করে কোরিয়ান ব্র্যান্ড নকল করে গবাদি পশুপাখির নকল এন্টি বায়োটিক ঔষধ উৎপাদন করে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।