সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের গেটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভাঙ্গার ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয়পার্টি। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে, এই ঘটনাকে ইস্যূ করে এমপি খোকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটা দাবি করেছে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়পার্টির সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির দাবি, এই ঘটনার সাথে এমপি খোকার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে বক্তব্য প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত’।
মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ্ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন ও জেলা জাতীয় পাটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাহ্ মোহাম্মদ হানিফের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোনারগাঁ জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকদের মাঝে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ওই বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করতে ১৭ নভেম্বর দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া, কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সদস্য মোহাম্মদ আলী, সোনারগাঁ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ জামান, শিক্ষানুরাগী আলেয়া আক্তার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এমপি খোকা নেতৃবৃন্দেরকে নিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। পরে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা বিদ্যালয়ের গেটে লাগানো নামফলকটি ভেঙে ফেলে। এর সঙ্গে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি।