সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভাঙ্গার ইস্যূকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন আওয়ামীলীগের বেশকজন নেতা।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল বলেছেন, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সহধমীর্নি ডালিয়া লিয়াকতকে নাগরিক কমিটির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও তার সহধর্মিনীর সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রি মহল বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য মিথ্যা নাটক সাঁজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের দায়ভার ঢাকতে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ১৭নভেম্বর মঙ্গলবার সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষের বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। কারন করোনাকালেও এই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। এ বিষয়ে এমপি খোকা ওইদিন অভিভাবকদের বলেন, সরকার বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরেও যদি বিদ্যালয়ে বেতন পরিশোধে অর্থের প্রয়োজন হয় সেটা আমি দেখবো।
এই বৈঠক শেষে এমপি খোকা পৌরসভার দরপত ঠোটালিয়া এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যান এবং সেখান থেকে সাদিপুর ইউনিয়নের দবির উদ্দীন ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেকটি অনুষ্ঠানে যান। অন্যদিকে কে বা কারা বিদ্যালয়ের গেটের সামনে লাগানো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে দেয়। ওই ঘটনায় মিডিয়াতে অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এমপি খোকাকে দায়ী করেন।