সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, কিশোর গ্যাং আর কিশোর অপরাধী যাই বলেন না কেনো এসব দমনে বাবা-মাকেই সবার আগে ভূমিকা রাখতে হবে। ঘর থেকে শুরু না করলে এর প্রভাব বাড়তেই থাকবে। কাজেই অভিভাবকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে প্লীজ আপনারা আপনাদের সন্তানদের দিকে নজর রাখুন। তারা কখন কোথায় যায় কি করে? কার সঙ্গে চলাফেরা করে।
২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বন্দর থানা প্রশাসন আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে ইতিহাস ঐতিহ্যের নগর। তার মধ্যে বন্দর হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। যতদূর জানি এই বন্দর সেই চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়েও ব্যাস্ততম বন্দর ছিল এই বন্দরের অনেক সুনাম রয়েছে। এখনো বন্দর কোন অংশে কম নেই। মাঝে
মধ্যে আমি নিজেই বন্দরে ঘুরতে আসি হয়তো আপনাদের সঙ্গে কথা হয়না। কিন্তু
আমি প্রায়ই বন্দরে চলে আসি। বন্দর এলাকাটা আমার ভাল লাগে। রাস্তার দু’পাশে সাড়ি সাড়ি ফুল গাছ লাগানো দেখতে কি অপরূপ লাগে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুদ্দিন ভূঞা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ সার্কেল
খোরশেদ আলম ও বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশীদ, বন্দর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২১নং ওয়ার্ড
কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সামসুদ্দোহা, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম প্রমুখ।
এ সময় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ইলিয়াসের স্ত্রী জুলেখা বেগম পুলিশ সুপারের কাছে তার স্বামী হত্যার ন্যায্য বিচারসহ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মাসুদ প্রধাণের গ্রেপ্তারের দাবি জানালে পুলিশ সুপার ওসিকে দ্রুত ধরার জন্য নির্দেশ দেন এবং ইলিয়াস হত্যা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করা হচ্ছে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন।