সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করেছে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা।
২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ এ কর্মবিরতীর ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি চলাকালীন টিকাদান কাজবন্ধ করে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করেন। তাদের দাবি- নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ক্রমাণুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
কর্মবিরতি পালনকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতারা বলেন, ‘আমাদের এ তৃণমূল স্বাস্থ্য সহকারীদের কাজের অর্জনেই আজ বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ যত পুরষ্কার পেয়েছেন তা আমাদের অর্জনের মাধ্যমেই।’
তারা আরও বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এক মহাসমাবেশে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের যে ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। ‘এছাড়া চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন বর্জন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। আমরা এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।”
এসময় নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ পরিদর্শক ঈসমাইল হোসেন, সহকারী স্বাস্থ পরিদর্শক মাকসুদা আক্তার, স্বাস্থ সহকারী ও কেন্দ্রীয় দাবী বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচীব ওয়াসিউদ্দিন রানা, স্বাস্থ সহকারী ও কেন্দ্রীয় দাবী বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য উম্মে সালমা, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হাফেজ মিরাজুল করীম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ প্রমুখ।