সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া বলেন, আপনারা সবাই জানেন আইনে হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কোনো ভাগ করি না। আমাদের ঈদের সময় হিন্দু ধর্মের ভাই-বোনেরা আসে আমাদের সাথে সব কিছু করে, আমরাও পূঁজাতে যাই। আমাদের এই দেশে একই ঘাটে পূঁজা করছে আবার মুয়াজ্জিন সাব আযান দিচ্ছে, মুসল্লীরা ওজু করে নামাজ পড়তে যাচ্ছে এটা একটি বিরল বিষয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এখন তিনি কষ্ট পেতেন কারণ উনার দলের একজন জনপ্রতিনিধি বাংলার মানুষের অর্থাৎ গণমানুষের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল, এটা একজন জনপ্রতিনিধির কাছে মানুষ আশা করেনা।
২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনারে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ও তার পরিবারের পরিবার কর্তৃক হিন্দু দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে নারায়ণগঞ্জের সর্বোস্তরের সনাতন ধর্মালম্বীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেই বলে গেছেন তোমার ধর্ম তোমার কাছে আমার ধর্ম আমার কাছে। তিনি এই দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও স্কুল কলেজ সহ যেকোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি যদি কেউ জোর করে আত্মসাৎ করতে চায় এবং সেই প্রতিষ্ঠান যদি মামলা করে আমরা সেই মামলার জন্য এক টাকাও ফি নিবো না।
এসময় নারায়ণগঞ্জর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচীতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, নাসিক প্যানেল মেয়র-২ মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, নাসিক ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডা. বিধান চন্দ্র পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা, নারায়ণগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, সাফায়েত আলম সানি, বর্তমান সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।
হিন্দু নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর কমিটির সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস, মহানগর কমিটির সভাপতি লিটন পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই দে, মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অঞ্জন দাস, হিন্দু মহাজোটের জেলা সভাপতি অ্যাড. রঞ্জিত, পালপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল প্রমুখ।