সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আছে। ওই জুনায়েদ বাবুনগরীরা জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য সংরক্ষণ করে, আর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার হুমকি দিয়েছে এবং শুক্রবার ভেঙ্গেছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জে ভাস্কর্য ভাঙ্গার চেষ্টা করা হলে হাত ভেঙ্গে দিবো, হাত কেটে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিবো।
৬ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে মহানগরীর ২নং রেলগেইট এলাকায় অবস্থিত আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা আরও বলেন, আমরা জানি কারা ভাস্কর্য ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। আপনারা আমাদের অস্তিত্বের উপর হাত দিয়েছেন, জাতীয় পতাকার উপর হাত দিয়েছেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অংশ। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গীবাদ মৌলবাদের উত্থান হতে দিবো না’। আজকের এই বিক্ষোভ থেকে দাবি জানাচ্ছি, জঙ্গীবাদী ও মৌলবাদী সংগঠন গুলিকে এখন থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মৌলবাদীর উত্থান ঠেকাতে হবে, ওদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। মাটির নিচ থেকে ওদের শিঁকড় টেনে ছিড়ে ফেলতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দনশীল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদা মালা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জিএম আরমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আবেদ হোসেন, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির, অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ, যুব মহিলা লীগ নেত্রী নুরুন্নাহার সন্ধ্যা প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে এবং চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
