বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় জাকিরুল আলম হেলালের কঠোর হুশিয়ারি

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরকারী ও ভাস্কর্যের বিরোধীতাকারীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেছেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ১৯৮৫ সালে তোলারাম কলেজে আমরা বিএনপির গুন্ডা বাহিনীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করেছিলাম। ১৯৯০ সালে এরশাদের গুন্ডা বাহিনীকে পেয়েছি যাদেরকে বাদল ভাইয়ের নেতৃত্বে, গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে, মাহতাব উদ্দিন লাল ভাইয়ের নেতৃত্বে সেদিন আমরা এরশাদের পতন ঘটিয়েছিলাম। ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনে সেই ২৬ দিনে ১৬টি তাজা প্রাণের বিনিময়ে এ নারায়ণগঞ্জে অসহযোগ আন্দোলন সৃষ্টি করে সারাদেশে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় এনেছে এ নারায়ণগঞ্জ।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচী পালিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাকিরুল আলম হেলাল এসব কথা বলেন।

তিনি অতীতের আন্দোলনের ইতিহাস টেনে বলেন, সেই রক্তাক্ত আন্দোলনের জায়গায় কুষ্টিয়ার ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলতে হয়। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, আমাদের এক লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের উপর হাত দিবেন না, ৩০ লক্ষ শহীদের উপর হাত দিবেন না। ভাস্কর্য নিয়ে খেলা খেলবেন না, কোরআন-হাদিসের আলোকে সিদ্ধান্ত হবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।