ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণে খোরশেদ ও ওয়ার্কিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জের আবেদন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া গোল চত্বর এলাকায় ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র বরাবর আবেদন করেছে নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়াকিং ফর বেটার নারায়ণগঞ্জ এর প্রধান সমন্বয়কারী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

গত ৬ ডিসেম্বর লিখিত এক আবেদন পত্রের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর এই আবেদন জানান ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ। এটি ৯ ডিসেম্বর রাতে গণমাধ্যমের কাছে প্রেরণ করা হয়।
চাষাঢ়ার এই গোল চত্বর এলাকা শহরের ২নং রেলগেট, সাইনবোর্ড ও আদমজী ইপিজেড এলাকাকে পরস্পর সংযুক্ত করে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ শহরে প্রবেশ-প্রস্থানের জন্য একমাত্র রাস্তা এই চাষাঢ়ার বঙ্গবন্ধু সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে সারাদিনে লক্ষাধিক কর্মজীবী মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। রাস্তাটিতে কোন ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় একদিকে জনসাধারণকে যেমন ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে সড়কগুলো পারাপার হতে হয়। আবার আরেকদিকে সড়ক পারাপার করতে থাকা মানুষদের তীব্র ভীড়ের ফলে গাড়িচালকদের এক্সিলারেটর থেকে ব্রেক কষতে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। যার ফলে যানবাহনের ধীরগতির পাশাপাশি সারাদিনই কম বেশি যানজট নগরজুড়ে লেগেই থাকে। হাসপাতাল, কাঁচাবাজার, পাইকারি মার্কেট সহ যে কোন প্রয়োজন মেটানোর জন্য বেশিরভাগ নগরবাসীকে এই বঙ্গবন্ধু সড়কই ব্যবহার করতে হয়। শহরের একটি সড়ককে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠায় সারদিনই এখানে যানবাহন ও জনসাধারণের জটলা লেগেই থাকে। যা নিরসনে ফুটওভার ব্রীজ সহায়ক হতে পারে।

কাউন্সিলর খোরশেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আবেদন পত্রটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়রের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সদর থানা নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরও প্রেরণ করা হয়।

খোরশেদ আবেদন পত্রে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শহর হওয়া সত্বেও মাত্র একটি প্রধান সড়ককে কেন্দ্র করেই শহরের কার্যক্রম গড়ে উঠেছে। ফলে কয়েকবছর ধরে প্রায় সারাদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু রোডে যানজটে নগরবাসীর নাকাল অবস্থা। ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি ও জনসাধারনের নিরাপদ রাস্তা পারাপারের জন্য চাষাঢ়া মোড় বা চৌরাস্তাকে কেন্দ্র করে একটি ফুট ওভার ব্রীজ এখন সময়ের দাবী।

তিনি আরও বলেন, সাইনবোর্ড এলাকায় প্রতিদিন কমপক্ষে লক্ষাধিক মানুষ পারাপার হয় এবং অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। আদমজী ইপিজেড কর্মস্থলে কাজ শুরু ও ছুটির সময় লক্ষাধিক শ্রমিকের রাস্তা পারাপারের সময় যানজট সৃষ্টি হয়।