সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক গামেন্টর্স কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ৫ জন নিখোঁজের ঘটনাটি নিখোঁজ নয় ছিল পরকায়ী প্রেমের ইস্যূ। ওই নিখোঁজের ৪ জনকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
উদ্ধার করা হয় ওই গামেন্টর্স কর্মকর্তা জামাল সরদারের মেয়ে আশামনি (১১), প্রিয়া মনি (৪) ও তার ভায়রার মেয়ে সুমাইয়া (১৪) ও স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে মো: নাজিম উদ্দীনকে (৯)। তবে পরকীয়া প্রেমিক সুমন ও জামাল সরদারের স্ত্রী ফরিদা ওরফে নিপাকে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০ ফেব্রয়ারি বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গার্মেন্ট কর্মকর্তার স্ত্রী নিখোঁজ নয় পরিকীয়া প্রেমিক সুমনের হাত ধরে ঘর হতে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে জানায় পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায় জামাল সরদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব নিমাইকাসারী মাদানীনগর নুরবাগ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে জামাল সরদার এক গামেন্টর্স কর্মকর্তার স্ত্রী ফরিদা ওরফে নিপা, মেয়ে আশামনি, প্রিয়া মনি ও তার ভায়রার মেয়ে সুমাইয়া ও শালার ছেলে আজিমসহ ৫জন নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গামেন্টর্স কর্মকর্তা জামাল সরদার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ১৩ ফেব্রুয়ারী একটি জিডি করেন।
জানানো হয়, ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নির্দেশক্রমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর শাহীন পারভেজের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শামীম সহ একাধিক টিম আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জিডির বাদি মোঃ জামাল সরদারের স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে নিখোঁজ মোঃ নাজিম উদ্দিনকে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ইকুরিয়া এলাকার নূরআনী মাদ্রাসা হইতে, অপর নিখোঁজ বড় মেয়ে আশা মনিকে বি-বাড়িয়া জেলার ল্যাবরেটরী আবাসিক স্কুল হইতে, তার ছোট মেয়ে প্রিয়া মনি ও ভায়রার মেয়ে সোমাইয়াকে কেরানীগঞ্জের একটি এলাকা হইতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
আরও জানানো হয় যে, জিডির বাদি জামাল সরদারের স্ত্রী ফরিদা ওরফে নীপা বেগম সুমনের নামের একজনের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় উক্ত সুমন ফরিদাকে ফুসলিয়ে প্রলোভন দেখাইয়া ঘর হতে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। নিপা বেগম ও সুমনকে উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুুলিশ।