ইসলাম কারো বাপের সম্পত্তি না, ইসলাম নিয়ে ভন্ডামী করবেন না: এমএ রশিদ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এম.এ রশীদ বলেছেন, আজকে এই পবিত্র মাটিতে সমবেত হয়েছি প্রতিবাদের জন্য, প্রতিরোধের জন্য। আমি ঘুম থেকে উঠে শুনি কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল সেই ষড়যন্ত্র আজো চলছে। এই ষড়যন্ত্রের নীল নকশাগুলো একই জায়গা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে।

কুষ্টিআয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট রাতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বিচারের জন্য আমরা ২৩ বছর পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে পেরেছি। ইসলাম কারো বাপের সম্পত্তি না। ইসলামকে নিয়ে কেউ ভন্ডামী করবেন না। মসজিদ আপনাদের একার নয়। এই মসজিদ সকলের। যারা ষড়যন্ত্র করবেন তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেই আমরা ঘরে ফিরব।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির মৃধার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ প্রমূখ।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম, সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, পৌর যুবলীগ নেতা কাজী জহির, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি তানভির আহম্মেদ সোহেল, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি জাকির প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত কবির ফাহিম ও অনিক তালুকদার অপুসহ বন্দরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বন্দরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।