সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থী রয়েছেন ৬জন নেতা। যাদের মধ্যে মোটামুটিভাবে ৪জনকে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন আওয়ামীলীগ নেতারা। সেই ৪ জনের মধ্যে আবার একজনকে ভোটের হিসেবে রাখছেন এগিয়ে, আরেকজকে শক্তির দিক দিয়ে রাখছেন এগিয়ে।
৬ জনের মধ্যে সর্বশেষ দুজনকে মনে করা হচ্ছে ড্যামী প্রার্থী হিসেবে। তবে এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থীরা রয়েছেন বেশ স্বস্থিতে। কারন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, পৌরসভা নির্বাচনটি হবে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের নির্বাচন। আর এই লড়াইয়ে প্রার্থীরা টেনশনে থাকলেও আওয়ামীলীগ নেতাদের অবস্থান নিয়ে তারা রয়েছেন স্বস্থিতে, যেখানে মহাটেনশনে আওয়ামীলীগ নেতারা।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে জোরালোভাবে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। কারন তারা মনে করছেন এই নির্বাচনটি মেয়র প্রার্থী যেই হোক নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিত করতে হবে। এখানে স্থানীয় মহাজোটের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মিনী ডালিয়া লিয়াকত মেয়র নির্বাচিত হলে পরবর্তীতে দশটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন এমপি খোকা। ইউনিয়ন পরিষদের শক্তিশালী প্রার্থীরাও তখন এমপি খোকার ছত্রছায়াতেই চলে আসবে।
ফলে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে এমপি খোকার নিয়ন্ত্রনে থাকবেন দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র। এতে আবারো এখানে জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি খোকাই মনোনিত হওয়ার বিরাট সম্ভাবনা তৈরি হবে। এক্ষেত্রে আবারো আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের এমপি হওয়ার অপেক্ষা আরো ৫ বছর বাড়বে। আবার যদি পৌরসভায় নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা যায় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আস্থা ফিরে আসবে আওয়ামীলীগের প্রতি।
সেক্ষেত্রে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, আওয়ামীলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান কালাম ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের অবস্থান থাকবে শক্তিশালী। যে কারনে পৌরসভা নির্বাচনটি আওয়ামীলীগ নেতাদের জন্য এসিট টেস্ট। এ কারনে এখানে যেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হোক তার পক্ষই নিবেন আওয়ামীলীগের নেতারা। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশি মেয়র প্রার্থীদের চেয়েও বেশি সক্রিয় নির্বাচনী মাঠে এই তিন নেতা।
স্থানীয়রা আরো বলছেন, বিগত সময়ের নির্বাচনগুলোতে যেমন আওয়ামীলীগের মাঝে বিরোধ বিভক্তি দেখা গিয়েছিল এ বছর সে রকম এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা। বিগত সময়ে যেমন দলীয় প্রতীকের প্রার্থী যখন ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্বাচনী মাঠে নামাতে হাতে পায়ে ধরতেন, কিন্তু এ বছর প্রার্থীদের চেয়ে বেশি সক্রিয় নেতারা। কেউ কেউ বলছেন, যদি ড্যামী প্রার্থীকেও নৌকা প্রতীক তুলে দেয়া হয় তাহলে সেই প্রার্থী ঘরে বসে থাকলেও আওয়ামীলীগ নেতারাই নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনায় সচল থাকবেন নির্বাচনে মাঠে। কারন এবারের নির্বাচনটি হয়ে গেছে আওয়ামীলীগের জয় পরাজয়ের ব্যাপার। ফলে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশিরা রয়েছেন স্বস্থিতে। এখন নৌকা প্রতীক যার ভাগ্যে থাকবে তার পক্ষেই থাকবেন আওয়ামীলীগ নেতারা। এমনটাই মনে করছেন তারা।