আড়াইহাজারে আজাদ-সুমনকে কোনঠাসা করতে পারভীনকে মাঠে নামালো তৈমূর

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়াই করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার। তবে এর আগে তিনি আড়াইহাজার পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। নির্বাচনে তিনি দাড়াতেই পারেননি।

এ আসনে গত নির্বাচনে দলের প্র্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমন। চুড়ান্তভাবে দলের মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম আজাদ। মুলত এখানে তৈমূর আলম খন্দকারের ইশারায় আজাদ ও সুমনকে কোনঠাসা করতেই পারভীনকে মাঠে নামিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এতদিন আনোয়ার হোসেন অনু ও পারভীন আক্তার নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে রাজনীতি করে আসছিলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে অধিষ্ট হয়েই তৈমূর আলম খন্দকার নতুন রাজনীতি শুরু করেছেন বলে নেতাকর্মীরা জানান।

৪ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা সদরে আশিক সুপার মার্কেটে রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে পারভীন আক্তার আগামীতে মনোনয়ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে এ ঘোষণা দেন।

পারভীন আক্তার লিখিত বক্তেব্যে বলেন, সময়ের প্রয়োজনে আমি তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ আসন আড়াইহাজার উপজেলা হতে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার নাম ঘোষণা করলাম। আমি বিএনপি রাজনৈতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে বিগত ১/১১ সরকার এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মামলা হামলা, জেল জুলুমে আমি এবং আমার পরিবারের অর্থনৈকিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিএনপি মনোনীত দুইবার মেয়র এবং একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রশাসন কর্তৃক ভোট কেন্দ্র দখল না করলে সবগুলি নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়লাভ করতাম।

পারভীন আক্তার আরো বলেন, ইতোপূর্বে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছেন ও করতে চান তাহারা সকলে ঢাকায় অবস্থান করেন। নেতাকর্মী ও জনগণের বিপদে আপদে তাদেরকে পাশে পাওয়া যায় না এবং তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন না।

তিনি বলেন, আমার স্বামী আনোয়ার হোসেন অনু আড়াইহাজার উপজেলার বিআরডিবির সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বর্তমান সরকারের দলীয় এমপি ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ার কারণে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে এবং মিথ্যা মালায় জেলে নিলে হাইকোর্টে আপিল করলে জামিনে মুক্ত হয়ে। আশাকরি বিগত দিনেরমত আগামী দিনেও আমার নেতাকর্মী, সমর্থক ও জনগণ আমার পাশে থাকবে ও আমাকে সহযোগিতা করবে যেহেতু অতীতে বিএনপি আমাকে তিনবার মনোনয়ন দিয়েছে মেহেতু আমাকে আবারো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিবে।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।