সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির যুবদলের নেতাকর্মীদের উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিলেন নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। তার গুলিবর্ষণে ঘটনাস্থলে ৫ জন যুবদলের নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন। সেই পান্না মোল্লাই এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একজন। শুধু জেলা বিএনপিরই নয় ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব পদেও রয়েছেন। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন পান্না মোল্লা।
২০১২ সালের ৩ নভেম্বর নেতাকর্মীদের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনার পর বিএনপিতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা। তিনি ছিলেন ফতুল্লার কুতুবপুুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। এক লাফে তিনি গত ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গঠিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান পান্না মোল্লা। এই কমিটি গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বিলুপ্ত গোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তবে এরি মাঝে গত ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পান নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১২ সালের ৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫জন গুলিবিদ্ধ সহ ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। ওইদিন বিকেলের এ ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে পিস্তল উচিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিলেন পান্না মোল্লা। তার লোকজনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত জখম করেছিল।
মুলত তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কারাবন্দি সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবের মুক্তি দাবিতে তৎকালীন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল কবীর মামুন গ্রুপের লোকজন ফতুল্লার নন্দলালপুর খালপাড়া এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করে। একই দাবিতে ফতুল্লা থানা যুবদলের অপর অংশের নেতা বর্তমান জেলা যুবদলের সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ আধা কিলোমিটার দূরে আরেকটি সমাবেশের আয়োজন করে।
যুবদলের অপর অংশের নেতা বর্তমান জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু অভিযোগ করেছিলেন, ওইদিন বিকেলে তারা নির্ধারিত সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় খালপাড়া এলাকায় তৎকালীন ফতুল্লা থানা যুবদলের সভাপতি একরামুল কবির মামুন গ্রুপের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায় এবং পান্না মোল্লা গুলি বর্ষণ করে। প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে তাদের গ্রুপের শাহআলম, নূর ইসলাম, আল আমিন, মাসুম ও বাশার গুলিবিদ্ধ হন।