সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটির অনুমোদন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে সদস্য পদে স্থান পেয়েছেন আড়াইহাজারের বিতর্কিত বিএনপি হাবিবুর রহমান হাবু। আদালতে ১০ দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই আসামি কমিটিতে জায়গা পেলেও জেলা বিএনপির বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুুকুল ইসলাম রাজীবকে রাখা হয়নি সদস্য পদেও।
জানাগেছে, গত ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট হাবিবুর রহমান হাবুকে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত থাকায় গ্রেপ্তার করেছিল থানা পুলিশ। এই হাবু আড়াইহাজার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালের দিকে হাবিবুর রহমান হাবুকে বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়ানোর কারনে তাকে অব্যাহতি দিয়ে আবুল কাশেম ফকিরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
হাবিবুর রহমান হাবুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রেপ্তারকৃত হাবু একটি অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৭ সালে র্যাব-১১ হাবুকে একটি অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে। সাজা হওয়ার পর থেকে সে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১৯সালের ২৭ আগস্ট গভীর রাতে আড়াইহাজার থানার পুলিশ উপজেলার দক্ষিণপাড়া নিজ বাড়ি থেকে হাবুকে গ্রেপ্তার করেছিল। স্থানীয়রা জানান, এ ছাড়াও হাবুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তাকে স্থানীয়রা ডাকাত হাবু হিসেবেই আখ্যায়িত করেন। তিনি গত বছরে পুুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমান হাবু মুলত রাজনীতি করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ের রাজনীতি করেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আজাদের চাচা লুৎফর রহমান আবদুকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জুয়েল আহাম্মেদ ও হাবিবুর রহমান হাবুকেও সদস্য পদে রাখা হয়েছে।
তবে আজাদ বলয়ের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে রাখা হয়নি সদস্য পদেও। রাজীব গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু কমিটির অপর দুই সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল ও নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হয়েছে। হাবু ডাকাতকে জেলা বিএনপির কমিটিতে রাখা হলেও রাজীবকে রাখা হয়নি এই কমিটিতে। ফলে নেতাকর্মীরা বলছেন, কমিটিতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি থাকলেও রাজীবের মত সাংগঠনিক নেতার ঠায় মিলেনি।