সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শিশুর দুধ কেনা নিয়ে দ্বন্ধের বোন জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমন নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনাস্থল থেকেই স্থানীয় লোকজন নিহতের দুলাভাই হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন কিশোরগঞ্জে রশিদাবাদ গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে গামেন্টস শ্রমিক। আর আটককৃত হাবিবুল্লাহ একই এলাকার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তারা ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার বরিশাইল্যা রিপনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতো।
নিহতের বোন হোসনে আরা বেগম জানান, হাবিবুল্লাহর সঙ্গে তিন বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। গত ৫ মাস আগে তার গর্ভে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। হাবিবুল্লাহ রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। আর তার ভাই সুমন তাদের সঙ্গেই ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় রিপনের বাড়িতে ভাড়ায় থেকে গার্মেন্টে কাজ করেন। প্রায় এক মাস ধরে শিশু পুত্রের দুধ কিনে দেয়না হাবিবুল্লাহ।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় সুমনের সঙ্গে হাবিবুল্লার তর্কবিতর্কে হয়। এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে সুমন বাড়ির সামনে রাস্তায় দাড়ালে হাবিবুল্লাহ পিছন থেকে গিয়ে সুমনকে পরপর কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন হাবিবুল্লাহকে আটক করে আর সুমনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাবিবুল্লাহকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুলাভাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্যালক সুমন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় লোকজন দুলাভাই হাবিবুল্লাহকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত সুমনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।