সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশের প্রধাণ নির্বাচন কমিশনার সহ সকল নির্বাচন কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি। ১১ জানুয়ারি সোমবার সকালে দলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার সকালে শুরু হওয়া এই মানববন্ধনে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো না কোন শৃঙ্খলা। চরম বিশৃঙ্খলা আর হইচই চেচামেচির মাঝে সঞ্চালক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বারবার মাইকে নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে মানববন্ধনে দাড়ানোর অনুরোধ জানালেও সেদিকে কোন প্রকার কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি নেতাকর্মীদের।
মানববন্ধন চলাকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান অনুগামী নাসির উদ্দীন, জাকির হোসেন রিপন গ্রুপের সঙ্গে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সমর্থকদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন যে কতটা নির্লজ্জ আর অপদার্থ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পুথিবীর বিভিন্ন দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলে সে দেশের রেল মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। কারন সে দেশে সরকারের জবাবদিহিতা রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে সরকারের কোন জবাবদিহিতা নেই। এই দেশে শুধু একজন মানুষকে খুশি রাখলেই সব কিছু চালানো যায়। সেই একজন হলেন প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার খুশির উপর এ দেশ চলছে। দেশের ৪২জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতি বরারবর তাদের পদ্যাগের আবেদন করেছে। এই ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিএনপির কোন সদস্য নয়, কোনো রাজনৈতিক দলেও সদস্য নয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বলবো আপনি যদি শুধু আওয়ামীলীগের লাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই কিন্তু আপনি যদি সমগ্র দেশবাসীর রাষ্ট্রপতি হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নন। জবাবদিহিতার প্রতি আপনার যদি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে আপনি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যে দূর্নীতির অভিযোগ দেয়া হয়েছে তার সুষ্ঠ তদন্ত করবেন। তদন্তে যদি অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আপনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন আর যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে এই অভিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আপনাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবং অবিলম্বে তাদের পদত্যাগের দাবিতে জেলা বিএনপির আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচি। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে গত ১২ বছরে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার একটি নির্বাচনও সুষ্ঠ হয়নি। কোন নির্বাচনেই ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারেননি। দেশের জাতীয় নির্বাচন অবৈধ হয়েছে, স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনও অবৈধ হয়েছে। আর তাই এ অবৈধ নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এই অবৈধ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আরো কঠোর কর্মসূচি দাবি করছি, সেই কঠোর কর্মসূচিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই অবৈধ নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, নাসির উদ্দিন, আব্দুল হাই রাজু, লুৎফর রহমান আব্দু, জাহিদ হাসান রোজেল, নজরুল ইসলাম পান্না, সদস্য খন্দকার আবু জাফর, নজরুল ইসলাম টিটু, আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, বশির উদ্দিন বাচ্চু, সেলিম হক, মোশারফ হোসেন, আশরাফুল আলম রিপন, জুয়েল আহমেদ, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবু, দুলাল হোসেন, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, আব্দুল আজিজ মাষ্টার, এম এ হালিম জুয়েল, গুলজার হোসেন, শাহ আলম হিরা, নুরুন্নাহার বেগম, একরামুল কবির মামুন, শাহ আলম মুকুল, মোস্তাকুর রহমান, রিয়াজুল ইসলাম, রহিমা শরীফ মায়া, কামরুজ্জামান মামুন হামিদুর হক খান, বাকির হোসেন, আল মুজাহিদ মল্লিক, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।