সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর লক্ষীনগরে অবস্থিত ১৩৯ জন শহীদের স্মৃতিচারণ বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুস্তাইন বিল্লাহ।
এ সময় তিনি বধ্যভূমিকে আধুনিকায়ন সহ ৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর গুলিতে ১৩৯ জন শহীদের স্মৃতিচারণ স্থাপন করার আশ্বাস দেন। পরে ১৩৯ জন শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
১৫ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের সন্তান জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকার স্থাপিত বধ্যভূমি সহ স্মৃতিস্তম্ভ ও বিজয়স্তম্ভ গুলোর বিষয় খোজখবর নেন।
৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সময় নারায়ণগঞ্জের সব চেয়ে বেশি শহিদ হওয়া বক্তাবলী পরগনার ১৩৯ জন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ছুটে যায় বক্তাবলীতে। তিনি স্ত্রী সন্তান সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বধ্যভূমিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মনিরুজ্জামান বকাউল, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল হোসেন প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বক্তাবলী ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, জলিল গাজী, ওমর ফারুক, আমজাদ হোসেন, আল আমিন, রাসেল চৌধুরী, হাজেরা বেগম, কুলসুম বেগম, মরিয়ম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বধ্যভূমিতে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, বক্তাবলীর মধ্যনগরে অবস্থিত বধ্যভূমিতে শহিদদের স্মৃতিচারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। আর বধ্যভূমিতে আসা যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ সহ নদীর পাড়ে জেটি করার নির্দেশ দেন তিনি। আর ১৩৯ শহিদদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির বিষয়ে এলাকাবাসী দাবির পেক্ষিতে ডিসি বলেন, আপনার চিঠি দিলে মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর আশ্বাস দেন।