সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নিজেকে ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে থানা পুলিশের উপর চাপ প্রয়োগ করে পুলিশের অস্ত্র চুরির মামলার আসামীকে থানা হাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে শহিদ নামের এক প্রতারক। একই সঙ্গে সে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণকারী ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনার হোতা ধুরন্ধর প্রতারক শহিদ।
২৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃত শহিদ ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কামদেপপুর থানার জয়নাল আবেদীনের পুত্র। সে স্ব-পরিবারে ফতুল্লা থানার রেলস্টেশন চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় বসবাস করে।
জানা যায়, ফতুল্লা থানা পুলিশের অস্ত্র চুরির মামলার আসামী ডাকাত সর্দার আজমীরকে অটোরিক্সার চোরাই মালামাল সহ বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকেই আজমীরকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবারের নিকট থেকে নগদ অর্থের সুবিধাগ্রহণ করে দিনভর তদবির করে।
তদবিরে ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার রাতে প্রতারক শহিদ ফতুল্লা থানা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন সহ উপস্থিত থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে অশোভন আচরণ সহ মারমুখি ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়। এসময় সে নিজেকে পুলিশের ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয় বহন করে থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের হুমকি প্রদান করে।
থানায় সাংবাদিকদের দেখে গ্রেপ্তারকৃত শহিদ বলে, ‘দশজনকে আমি ওসি বানিয়েছি আর আজ আমাকেই কিনা থাকতে হচ্ছে থানা হাজতে।’
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ডাকাত সর্দার আজমীর সহ তার সহযোগিদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদকালে জৈনক শহিদ গ্রেপ্তারকৃত আজমীরের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে এসে ওসির রুমে প্রবেশ করে আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে তদ্বির করে।
এ সময় শহিদকে পাশের অভর্থ্যনা কক্ষে গিয়ে বসার জন্য অনুরোধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত ফতুল্লা থানা পুলিশের কর্মকর্তাদের দেখে নেবার হুমকি সহ ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলে,য,”ডিআইজি, আইজির নিকট থেকে আমি যে কোন কাজ আদায় করে নিয়ে আসি আর আর আপনারা তা করলেন না। এ বিষয়ে আমি (শহিদ) খুব মাইন্ড করলাম। আমার নাম শহিদ আমি সকলকে দেখে নিবো বলে হুমকি প্রদান করে।”
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আজমীরকে ছাড়িয়ে নিতে এসে শহিদ আমাদের কাজে বাধা প্রদান করা হুমকি প্রদান করলে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে।
এর আগে আজমীর গ্রেপ্তারের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গ্রেপ্তারকৃত শহিদ নিজেকে ডিআইজির ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ সহ মাই টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে বলে জানা যায়।