সান নারায়ণগঞ্জ টুুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় গানের অনুষ্ঠানে নাচানাচিকে কেন্দ্র করে জামাল হোসেন নামে এক যুবককে বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আশকাংজনক অবস্থায় স্থানীয়রা জামালকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
২৬ জানুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে এঘটনা ঘটে। আহত জামাল হোসেন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত. আমির হামজার ছেলে।
এদিকে ঘটনার পরপর উল্টো আহতের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে হৃদয় হোসেন বাবু ও রাসেল নামে দুই সন্ত্রাসী। বাবুর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের একটি থানায় মাদক আইনে মামলা রয়েছে এবং রাসেলের বিরুদ্ধেও ফতুল্লা মডেল থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আহতের বড় ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দু’জন সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার বাদী আবুল হোসেন জানান, সোমবার রাতে প্রতিবেশী সলিমউদ্দিনের বাড়িতে গান বাজনার অনুষ্ঠান চলাকালে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা এসে গানবাজনা বন্দ করার জন্য হুমকি দেয়। এসময় তার ভাতিজা শুভ প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে চলে যায়। পরে শুভ’র চাচা জামাল শুভকে কেন মারধর করেছে তা জিজ্ঞেস করতে গেলে তাদের সাথে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়।
এরপর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। জামালের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে আইসিওতে রাখা হয়। জামাল হোসেন এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, দুজন ব্যক্তি থানায় আসে মারধরের মামলা করার জন্য। বিষয়টি সন্ধেহ হলে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি তারা জামাল হোসেন নামের ঐ যুবককে ছুরিকাঘাত করে থানায় এসেছে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছুরিকাঘাতের সত্যতা পেয়ে মামলা গ্রহণ করেছি। আহত জামালের ভাই মামলা দায়ের করেছে। পলাতক অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জামালের খোজখবর নিয়মিত নেয়া হচ্ছে।
