সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ভিডিওতে সোনালী আক্তার নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় স্বামী মানিক মিয়ার। গড়ে ওঠে তাদের পরকীয়া প্রেম। এতে বাধা দেন গৃহবধু মৌসুুমী আক্তার। এর জের ধরে মৌসুমী আক্তারকে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের মা।
জানাগেছে, ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী এলাকার জিন্নাহ মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ‘খ’ অঞ্চল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং ২৩/২০২১।
মামলায় নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার জজ মিয়ার ছেলে মৌসুমীর স্বামী মানিক মিয়া ও আপন মিয়া, জজ মিয়া ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম এবং সোনালী আক্তার নামে আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০১০ সালের ৩১ মার্চ আয়েশা বেগমের কন্যা মৌসুমীর সঙ্গে মানিক মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মানিক মিয়াকে ৪ লাখ টাকা যৌতুক সহ আসবাববপত্র ছাড়াও অন্যান্য জিনিসপত্র দেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৮ বছরের এক ছেলে ও ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের সুখের সংসারে সম্প্রতি মানিক মিয়ার সঙ্গে টিকটকে সোনালী আক্তারের পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে সোনালী আক্তারের সঙ্গে মানিক মিয়ার পরকীয়া প্রেম গড়ে ওঠেছে।
বিষয়টি জানতে পেরে মৌসুমী গত বছরের ৩০ অক্টোবর বাধা দিলে তাকে মারধর করে ৪ হাজার ৫’শ টাকা নিয়ে সোনালীর সঙ্গে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় মৌসুমী ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করায় ফোনে মানিক ও তার পরিবারের লোকজন হুমকি ধমকি দিতো এবং শরীরে আগুন জ্বালিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিতো।
এরি ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাত দশটায় আসামিরা সকলে মিলে মৌসুমীর শরীরে তারপিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মৌসুমীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে ২৬ ডিসেম্বর সে মৃত্যুবরণ করে।