সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ১২’শ আইনজীবীর স্বপ্নের ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ ও সার্বিক উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন আইনজীবীরা। জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবীরা সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করেছেন। আদালতপাড়ায় তরুণ আইনজীবীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজধারী হিসেবে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের হাতেই উন্নয়নের নেতৃত্ব তুলে দিলেন আইনজীবীরা।
এখানে উল্লেখ্যযে, ৮তলা বিশিষ্ট ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের দানবীর সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের একক অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ তলার কাজ সম্পন্নের দিকে। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ। এমপি সেলিম ওসমান আওয়ামী প্যানেলের পরিচিতি সভায় ঘোষণাও করেছেন মোহসীন-মাহবুব প্যানেল বিজয়ী হলে ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ কাজ চলমান থাকবে।
এদিকে ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। দিনব্যাপী আইনজীবীেদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও আসেন নির্বাচনী আমেজ উপভোগ করতে। ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন পরিদর্শন করতে আসেন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। তিনি এদিন দুপুর থেকে ফলাফল পর্যন্ত নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ উপভোগ করেছেন। প্রথমে তিনি বিএনপি প্যানেলের প্যান্ডেলে যান এবং শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। একই সঙ্গে নির্বাচন পরিদর্শনে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সংসদ সদস্য সোনারগাঁয়ের আমজনতার নেতা খ্যাত লিয়াকত হোসেন খোকা।
এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনিও নির্বাচনে দিনব্যাপী আদালতপাড়ায় অবস্থান করেন। নির্বাচন পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, আব্দুল হাই রাজু, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপন সহ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও।
এ ছাড়াও নির্বাচন পরিদর্শনে আদালদপাড়ায় এসেছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, ফতুুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ রশিদ মিয়া সহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান এবং বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ প্যানেলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা।
নির্বাচনী ফলাফলে আওয়ামী প্যানেলের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া পেয়েছেন ৭৩৪ ভোট এবং বিএনপি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়ছেন ২৪২ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৬৯১ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মোল্লা পেয়েছেন ২২০ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জসিমউদ্দীন পেয়েছেন ভোট।
আওয়ামীলীগ প্যানেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী রয়েছেন অ্যাডভোকেট বিদ্যুৎ কুমার সাহা পেয়েছেন ৬৫৯ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া পেয়েছেন ৩১৯ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট বরুণ চন্দ্র দে পেয়েছেন ৬০৩ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আলম রিপন পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি পেয়েছেন ৬৮০ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজ পেয়েছেন ২৯৮ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান কাজল পেয়েছেন ৬৮৪ ভোট ও তার প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা পেয়েছেন ২৯৮ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের আপ্যায়ন সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৬৩৬ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের লাইব্রেরী সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন ৭০৬ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহসীন শেখ পেয়েছেন ২৭২ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল হক সুমন পেয়েছেন ৬৫০ ও বিএনপি প্যানেলের অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার পেয়েছেন ৩২১ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আসাদুর রহমান বিপ্লব পেয়েছেন ৬৬৩ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান পেয়েছেন ২৯৭ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের সমাজ সেবা সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান ইনা পেয়েছেন ৬৫৬ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি পেয়েছেন ৩০২ ভোট।
আওয়ামী প্যানেলের আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নুসরাত জাহান তানিয়া পেয়েছেন ৬০৬ ভোট ও বিএনপি প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট।
আওয়ামীলীগ প্যানেল থেকেই কার্যকরী সদস্য পদে ৫জন নির্বাচিত হয়েছেন। যেখানে আওয়ামী প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক মিলন পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ৬১২ পেয়েছেন ভোট, অ্যাডভোকেট আবু তাহের রানা পেয়েছেন ৫০৭ ভোট ও অ্যাডভোকেট রোমানা আক্তার পেয়েছেন ৭০৬ ভোট।
তবে বিএনপি প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ পেয়েছেন ২৯৪ ভোট, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৪৫৯ ভোট, অ্যাডভোকেট আসিয়া সুলতানা জেমী পেয়েছেন ৪০৩ ভোট, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ পেয়েছেন ৩৪৭ ভোট ও অ্যাডভোকেট জামান হোসেন পেয়েছেন ৩২৫ ভোট।