সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ঘোষিত ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির বিরোধীতা করে বিদ্রোহী কমিটি গঠন করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনির বহিষ্কার দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল সহ রনির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
পরে একই দিনে রাত ৮টায় ফতুল্লার কোতালেরবাগস্থ ছাত্রদলের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিয়াস খন্দকারকে আহ্বায়ক ও লেলিকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের পাল্টা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে।
ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের পাল্টা আহবায়ক কমিটির হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির প্রধান সমম্বয়ক সাগর সিদ্দিকী।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগে জানায়, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি নগদ অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে অছাত্র, বিবাহিত, মাদকাসক্ত, আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের স্থান দিয়ে তার নিজ এলাকা ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। যা সকল নেতা-কর্মীদের নিকট রনির পকেট কমিটি হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
তাদের আরও অভিযোগ, স্বীয় স্বার্থ হাসিলে রনি আওয়ামীলীগের এজেন্ডা হিসেবে তাদের হুকুম বাস্তনায়নে অছাত্র, বিবাহিত, আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের স্থান দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি করার পূর্বে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাবেক ছাত্রনেতাদের সাথে কোন সমন্বয় না করে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য এই পকেট কমিটি করা হয়। রনির দেওয়া কমিটির বেশীরভাগ অছাত্র বিবাহিত, স্বশিক্ষিত, বাবুর্চি এই কমিটিতে স্থান পায়। যারা দলের জন্য ত্যাগী, দলের দুর্দিনের কান্ডারী, নির্যাতিত ও রাজপথে সক্রিয় তারা কমিটিতে স্থান পায়নি। আর তাই ত্যাগি, নির্যাতিত, পরিক্ষিতদের নিয়ে রনির পকেট কমিটির বিরুদ্ধে পাল্টা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে বিএনপির সিদ্ধান্তক্রমে আমাদের ঘোষিত কমিটি কাজ করে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
পরে তৃনমূল ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পিয়াস খন্দকারকে আহ্বায়ক, লেলিনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের পাল্টা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন আরিফ হাসান, যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম, শওকত হাসেম ইফতি, মোজাম্মেল প্রধান, রোমান মিয়া, মনিনুল ইসলাম বিজয়, মোঃ রাহাত চৌধুরী, মোঃ সবুজ, সাইফুল ইসলাম সাইফ, হাসিবুল ইসলাম। সদস্য হিসেবে রয়েছেন জুবায়ের আহম্মেদ জাবেদ, মোঃ আদর্শ বাবুল, সজীব হোসেন অয়ন, মোঃ শান্ত ইসলাম, সাইফুল ইসলাম রিফাত, জহিরুল ইসলাম সাগর, মোঃ তুষার আহম্মেদ, মোঃ শান্ত হান্নান, সোহান মাহমুদ সাগর।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে সাগর সিদ্দিকীকে, সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন মোঃ মোরশেদ, শোয়েব আক্তার সোহাগ, শাখাওয়াত হোসেন অনি ও রাহাত প্রধান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল নেতা জিয়াউল হক জিয়া, সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহমান পিয়াল সহ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।