দু’জন বহিস্কার, তারেক জিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে বাঁচলেন তৈমূর আলম!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রীম কোর্ট শাখায় কমিটি দিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই কমিটির বিরোধীতা করে পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পাল্টা কমিটি গঠন করায় তৈমূর আলমের সহযোগী কেন্দ্রীয় ফোরামের দুইজনকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে তারেক রহমানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় বহিস্কার থেকে বেঁচে গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত ক্ষমা চেয়ে বহিস্কার হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

মুলত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট শাখার সদ্য ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে পাল্টা কমিটি ঘোষণার অপরাধে তৈমূর আলমকে বিএনপির সকল পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

এমন বিষয়টি বুঝতে পেরে পাল্টা কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর লিখিত চিঠিতে নি:শর্ত ক্ষমা চেয়েছেন তৈমূর আলম এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকারও করেন তিনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমান বরাবর এ চিঠি দেন তৈমূর।

তবে সংগঠন বিরোধী তৎপরতার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা ও মির্জা আল মাহমুদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সাক্ষরিত পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়:সংগঠন বিরোধী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য মির্জা আল মাহমুদ এবং এবিএম রফিকুল হক তালুকদার (রাজা)- কে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সংগঠনের সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিস্কার করা হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবেনা; বা তারা দাবি করলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সকল পর্যায়ে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন থেকে বহিস্কৃত এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা ও মির্জা আল মাহমুদ দু’জনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

অন্যদিকে সূত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট শাখার কমিটি ঘোষণা করা হয় গত ২৬ জানুয়ারি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কমিটির অনুমোদন দেয় ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি মেনে নিতে পারেননি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। তৈমূরের এমন অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে ফুঁসে উঠের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা তৈমূরের এই বিষয়টি ঘটনা লন্ডনে তারেক রহমানকে জানান, তারেক রহমান ক্ষুৃব্দ হয়ে তৈমূরকে বহিস্কারের নির্দেশ দেন। তখন বাধ্য হয়ে নিজের রাজনীতি বাঁচাতে তারেক রহমান বরাবর লিখিত চিঠিতে তার কৃতকর্মের জন্যে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

চিঠিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার লিখেছেন- বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী একজন আইনজীবী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি দীর্ঘদিন পরে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সপ্রিম কোর্ট ইউনিট এর একটি কমিটি উপহার দেওয়ার জন্যে। কমিটি প্রাপ্তির পরে অনেকটা আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা একটা পাল্টা কমিটি গঠন করেছিলাম, যা দায়িত্বশীল পদে থেকে করা উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত রাখার অঙ্গিকার করছি এবং একই সাথে আমাদের ঘোষিত কমিটি বাতিল করলাম। সেই সাথে সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সপ্রিম কোর্ট ইউনিটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গিকার করছি। আমাদের আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করে বাধিত করিবেন।