সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের জাতীয়পার্টির সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান যুক্তি দেখিয়েছেন বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের বর্তমান পাঁচ চেয়ারম্যানকে আরো একবার উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় তার আসনের আরো দুটি ইউনিয়নের বিষয়েও তিনি একই মত দিয়েছেন। যেখানে গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলীর মৃত্যুর পর এখানে জসিম উদ্দীন এখন তার পছন্দের প্রার্থী।
জানাগেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়নে এক মতবিনিময় সভা করেন এমপি সেলিম ওসমান। যেখানে বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও সদরের আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিও উপস্থিত ছিলেন। এখানে উল্লেখ্যযে, বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪জন জাতীয়পার্টি ও একজন নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন গত নির্বাচনে।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দীন। সেলিম ওসমান ওই মতবিনিময় সভায় বলেছেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বন্দর উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমি বলেছি খবরদার। এখানে দেলোয়ার প্রধানকে আবারো একবার প্রয়োজন। উন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজন। কাজিম উদ্দীন ভাই সামনে। আপনারা আগামীতে কাজিম উদ্দীন ভাইকে সমর্থন কইরেন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি আলীকেট ইউনিয়নে এক মতবিনিময় সভায় যান এমপি সেলিম ওসমান। সেখানে তিনি বলেছেন তার আসনের ৭টি ইউনিয়নের বর্তমান পরিষদ থাকুক। তিনি বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে মতিউর রহমানকে রেখে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদকে আবারো রাখতে চাই।
ওই দিনও বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সেলিম ওসমান বলেছিলেন, আজকের এই সভায় আরও দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আসতে বলেছিলাম। তারা আসেনি। এলাকাবাসী আপনারা চাইলে আলীরটেক ইউনিয়নের বর্তমান পরিষদকে আবারো রাখতে চাই।
তবে সেলিম ওসমানের এমন ঘোষণার পর ৫ ফেব্রুয়ারি আলীরটেক ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে শোডাউন করে নির্বাচনের পক্ষে দাবি তুলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েম আহাম্মেদ। ওই শোডাউনে এলাকাবাসী নির্বাচনের দাবি জানান। তাদের দাবি সিলেকশন নয়, চাই ইলেকশন।