সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ললাটি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রাজমিস্ত্রী লাল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মামলার অন্যতম প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিলিশ। ২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে সোনারগাঁও মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে, সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ললাটি গ্রামের আব্দুস সামাদের সাথে খোরশেদের দীর্ঘদিন ধরে ২০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্ধ চলছিল। জমিটি খোরশেদের দখলে রয়েছে এবং একাধিকবার বিচার শালিসে খোরশেদ এ জমির রায় পেয়েছে। আব্দুস সামাদ এ জমিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে সম্প্রতি এ বিরোধপূর্ণ জমিটি সনমান্দী ইউনিয়নের নাজিরপুর বড়বাড়ি এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা ও স্বঘোষিত নাতী গ্রুপের প্রধান প্রভাবশালী হাজী আনোয়ার হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন।
হাজী আনোয়ার জমিটি ক্রয় করে দখলে নেয়ার জন্য তার নেতৃত্বে মদনপুরের সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিঠু, গোলজারসহ ৭০-৮০ জন ব্যক্তি ওই জমি দখল করতে যায়। এ সময় খোরশেদের ফুফা লাল মিয়া মিস্ত্রী এতে বাধা দিতে আসলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাজী আনোয়ার ও তার লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় জড়িত আব্দুস সামাদ ও তার ছেলে মহিউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে লাল মিয়ার ছেলে খোকন বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলার অন্যতম প্রধান আসামী ভূমিদস্যূ ও মদনপুর এলাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুল্লাহ হাবির ও জামপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসী এবং লালমিয়া হত্যার অন্যতম প্রধান আসামী গোলজারকে ফাঁদ পেতে মেঘনা শিল্পাঞ্চল থেকে রবিবার ভোররাতে গোপন বৈঠক করার সময় গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, তাদের গ্রেপ্তার খবর ললাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী এসআই মনির হাসানকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল করে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করে। গ্রেপ্তারতারকৃত হাবিবুল্লাহ হাবিব বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার মুরাদপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে ও গোলজার হোসেন উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের হাতুড়াপাড়া গ্রামের অলিউল্লাহর ছেলে।