সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবার হলো ওসমান পরিবার। এই পরিবারের মাধ্যমে উত্থান অনেক নেতারাই ব্যক্তিস্বার্থে পল্টি দিয়েছেন। কেউ কেউ সুবিধা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে এর সংখ্যা একেবারেই কম। যেখানে লাখো বিশ্বস্থ কর্মী রয়েছে ওসমান পরিবারের। দেশের এই একটি পরিবার যে পরিবারের সদস্যরা তিন পুরুষ জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছেন।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ৪র্থ প্রজন্মের হাতছানি দিচ্ছে। যেখানে একেএম অয়ন ওসমানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মী, ছাত্র ও যুব সমাজ। এদের মাঝেই তৈরি হচ্ছে ওসমান পরিবারের বিশ্বস্থ কর্মী। যারা ওসমান পরিবারের ঝান্ডা তুলে ধরছেন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে। যাদের মধ্যে অন্যতম হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধান।
হাবিবুর রহমান রিয়াদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নেতা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছেন।
নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে নেই কোন অরাজকতা। ছাত্র রাজনীতিতেও নেই কোন বিশৃঙ্খলা কিংবা বিতর্কিত কোন ঘটনা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন রিয়াদ। একই সঙ্গে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে একেএম অয়ন ওসমানের তরফ থেকে পাঠানো আর্থিক সহায়তাগুলো বিতরণে কাজ করছেন রিয়াদ। অয়ন ওসমানের মাধ্যমে তোলারাম কলেজকে সর্বপ্রথম ওয়াইফাই জোন করা হয়েছিল।
এমনকি অসুস্থ্য শিক্ষকদের মাঝেও দাঁড়িয়েছিলেন অয়ন ওসমান। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অসুস্থ্য ও মেধাবী গরীব শিক্ষার্থীদের মাঝে অয়ন ওসমানের দেয়া সহায়তাগুলো বিভিন্ন সময় রিয়াদ বিতরণ করছেন। অয়ন ওসমানের নির্দেশনায় মহানগর ছাত্রলীগ ও তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত রেখেছেন রিয়াদ। একই সঙ্গে অয়ন ওসমানের নির্দেশনা ছাত্র সমাজের উন্নয়নে ভুমিকা রাখছেন রিয়াদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী পরিবারের এই সন্তান হাবিবুর রহমান রিয়াদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমান। ছাত্রলীগের নানা প্রসংশনীয় কর্মকান্ডে সহযোগীতা করছেন অয়ন ওসমান।
তোলারাম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি- অতীতে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে কলেজে ভর্তি বানিজ্য, ফি বানিজ্য, মারামারি হানাহানির মত নানা ঘটনায় বিতর্কিত ছিল। কলেজ ও এর আশপাশের এলাকায় দোকান বসিয়ে চলতো চাঁদাবাজি। নানা কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটতো। বন্ধ থাকতো পরীক্ষা ও ক্লাস। এতে বাড়তো সেশন জট।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি- সারাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জেই ছাত্রলীগ একটি মডেল ছাত্রলীগ। যে ছাত্রলীগের একটি কর্মীর বিরুদ্ধেও জুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠেনি। তোলারাম কলেজ ক্যাম্পাস একটি শান্তিপ্রিয় ক্যাম্পাস।