শত চেষ্টা করেও জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না : রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব।

১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার মাসুকুল ইসলাম রাজীব তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, দেশনেত্রীর সাজা, তারেক রহমানের সাজা, সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সবই আমাদের ঐ মনোভাবের ফল। আর এই ঝুলুমবাজ মিথ্যাবাদী সরকার জিয়া পরিবারের উপর যতকিছুই করুক যত অপবাদ দেক এদেশের মানুষ কখনোই সেটা বিশ্বাস করেনি করবেও না কোনদিন। কারন জিয়া মানেই বাংলাদেশ, জিয়া মানেই দেশপ্রেম, জিয়া মানেই সত্যিকারের গণতন্ত্র, জিয়া মানেই সততার সবার সেরা উদাহরণ, জিয়া মানেই এদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ের গভীরে শ্রদ্ধার একটি নাম। তাই শতচেষ্টা করেও এ নামের ক্ষতি কেউ করতে পারেনি পারবেও না।

মাসুকুল ইসলাম রাজীব তার নিজস্ব ফেসবুকে দেওয়া লেখাটি সম্পূর্ণ তুলে ধরা হলো:

‘‌নতজানু রাজনৈতিক রন কৌশল, আপোষকামী, মোসাহেবি, চামচামি মানুষিকতাদের দায়িত্বে রেখে এরকম অন্যায় জুলুম কে যে প্রতিহত করা যায়না তা বারবার প্রমানিত। অবৈধ সরকারের অন্যায় জুলুমের কার্য়ত কোন প্রতিবাদ না করে মিউ মিউ করে বলার জন্য বলা এরকম আচরণ প্রকারান্তরে তাদের সব অন্যায় কে মেনে নেয়ার সামিল এবং সেটাই করা হচ্ছে বারবার। দেশনেত্রীর সাজা, তারেক রহমানের সাজা, সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সবই আমাদের ঐ মনোভাবের ফল। আর এই ঝুলুমবাজ মিথ্যাবাদি সরকার জিয়া পরিবারের উপর যতকিছুই করুক যত অপবাদ দেক এদেশের মানুষ কখনোই সেটা বিশ্বাস করেনি করবেও না কোনদিন ———-কারন জিয়া মানেই বাংলাদেশ, জিয়া মানেই দেশপ্রেম, জিয়া মানেই সত্যিকারের গণতন্ত্র, জিয়া মানেই সততার সবার সেরা উদাহরণ, জিয়া মানেই এদেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ের গভীরে শ্রদ্ধার একটি নাম। তাই শতচেষ্টা করেও এ নামের ক্ষতি কেউ করতে পারেনি পারবেও না। পারিনি শুধু আমরা এই নামের আদর্শিক শক্তিকে ব্যবহার করতে যেদিন এটা পারবো ব্যবহার করতে সেদিন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে সব অপশক্তি।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করা হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।