সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে একজন মাজার পূজারী আখ্যায়িত করে এবং তিনি দেবতার সামনে সিদূর দিয়ে প্রণাম করেছে শিরক করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ওলামা পরিষদের নেতারা। একই সঙ্গে মেয়র আইভী মুসলমানদের কাতারে নাই বলেও তাদের দাবি।
তাদের অভিযোগ- ‘মাথায় সিদুর দিয়ে দেবতার সামনে গিয়ে প্রণাম করে শিরক করেছেন, একইভাবে মাজার জিয়ারত করেও শিরক করছেন। এইসব কর্মকান্ডের ফলে এখন আপনি আর মুসলমানদের কাতারে নাই। ইসলামের গন্ডি পেরিয়ে শিরিকের গন্ডিতে পৌছে গিয়েছে। আপনি (মেয়র) যদি ইসলাম ধর্ম থেকে বাইরে চলে যেতে চান, তাহলে ঘোষণা দিতে হবে। মুসলমান থেকে আপনি এসব কাজ করবেন আর ক্ষমতায় থাকবেন, তা হতে পারে না।
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙ্গার চেষ্টার অভিযোগ এনে ১২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ জুম্মা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে করা সমাবেশ থেকে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশির উল্লাহ। একই অভিযোগ করেছেন অন্যান্য বক্তারাও।
মুফতি বশির উল্লাহ মেয়রকে উদ্দশ্যে করে আরও বলেন, আপনাকে (মেয়র) বুঝতে হবে মাওলানা আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জের বাবা। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা আসলে উলামা সহ্য করবে না। আমি পুলিশের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনারা জনগণের সেবক তাই জনগণকে মুল্যয়ন করতে শিখুন। পুলিশকে অবশ্যই জনগণের দাবির সাথে একাত্ব পোষণ করতেই হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজত ইসলামের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি ও উলামা পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, বাগে জান্নাত মসজিদ তার পাশে দাওরে হাদিস মাদরাসা, এই দাওরে হাদিসের মাষ্টার্সের স্বীকৃতি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এই মাদ্রাসার ১১ শতাংশ জায়গায় আছে, মেয়র নাকি কমিটির সাথে কথা বলেছে, এই জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য। আমি উলামা পরিষদের মহানগরের সভাপতি হিসেবে চ্যালেঞ্জ করলাম, আমি ফেরদাউস আপনাকে চ্যালেঞ্জ করলাম, খোদার কসম, আপনি এই জায়গায় হাত দিতে পারবেন না, সাহস যদি থাকে হাত দিয়ে দেখেন, আপনাকে নারায়ণগঞ্জবাসীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। হিন্দুগো ক্ষেপাইছেন, কিন্তু আমরা প্রমাণ দিছি আমরা হিন্দু মুসলিম নারায়ণগঞ্জটাকে সুন্দরভাবে সাজাতে চাই। কারো সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কাসেমী, সহ-সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্বাসী, মহানগর ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হারুন অর রশিদ, সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি কবির হোসাইন, সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন দায়েমী প্রমূখ।