সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ পুুলিশ সুপার হিসেবে তিনবার নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে শীর্ষ কর্মকর্তা এসপি হারুণ অর রশীদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস চন্দ্র সাহা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল মোঃ মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘খ’ সার্কেল মোঃ খোরশেদ আলম, এএসপি ‘গ’ সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো: আনিচ উদ্দিন সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ট্রাফিক বিভাগের সকল অফিসারগণ।
জানাগেছে, ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। ২৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রেঞ্জ অফিসে ক্রাইম কনফারেন্স মিটিং এ ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।
ওই সভায় রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বিপিএম) এর সভাপতিত্বে ঢাকা রেঞ্জের ক্রাইম কনফারেন্স মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, ওয়ারেন্ট তামিল, শিল্প এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা সহ নারায়ণগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষ জনক হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) কে ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার হিসাবে মনোনীত করে পুলিশ সুপারের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকের্ট প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) পরপর তিন বার ঢাকা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হলেন।
তিনি নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর অপরাধীদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় ৬ লাখ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে শহরের আলোচিত হকার উচ্ছেদ করেছেন। এছাড়াও প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রিত শহরের জুয়ার আসর থেকে ৪১ জনকে আটক করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কবির হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর মহানগর শ্রমিকলীগের সেক্রেটারি কামরুল হাসান মুন্না গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ জন নিখোঁজের ঘটনায় ৪ জনকে উদ্ধার ও মুল ঘটনা উৎঘাটন করেছেন।
এছাড়াও সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লাল মিয়া হত্যা মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। বন্দরের খলিল গ্রুপ ও আমির গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের ঘটনায় মামলায় আসামীদের গ্রেপ্তার করেছেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জে এসেই কয়েকশ মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করেছেন। বন্দরের তিন নারীকে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলে গাছে বেধে নির্যাতন করে চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইউসুফ মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছেন। এছাড়াও বেশকিছু আলোচিত ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করেছেন।