সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে জাতীয়পার্টি থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের আলোচনায় রয়েছেন রফিকুল ইসলাম বিডিআর। তবে তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। মাত্র কয়েক মাস পূর্বে বিএনপি থেকে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেই উপজেলা জাতীয়পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ ভাগিয়েছেন তিনি। এরি মাঝে মেঘনা নদীর আশপাশ দখলে নেমে পড়েছেন বিএনপি কাম জাতীয়পার্টির নেতা।
জানাগেছে, মেঘনা শিল্প নগরীর ইসলামপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু ফেলে মেঘনা নদী দখলের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলের শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে। পিরোজপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার নদীর তীর ঘেঁষে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে মেঘনা নদী রক্ষায় সিমেন্টের ব্লক ও পাথর সরিয়ে এ নদী দখল করছে। ওই স্থানে বালু ফেলার সময় অর্ধশত সন্ত্রাসী নিয়ে স্পীড বোডের মাধ্যমে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নদীতে মহড়া দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে শাহাদাত হোসেন একটি কোম্পানির পক্ষে নদী দখল করে এ বালু ভরাট করছে। মেঘনা নদীর ইসলামপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে ৩শ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১শ ফুট চওড়া করে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে এ বালু ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা শিল্প এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে সরকারী খাস জমি ও নদীর জমি দখল করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রফিকুল ইসলাম নিজেকে আড়াল করে নেয়।
সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুর হাতে লাঙ্গল প্রতীক তুলে দিয়ে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন। জাতীয়পার্টিতে যোগদানের পর থেকে সে আগের রূপে ফিরে যান। রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহাদাতের নেতৃত্বে আবারো দখলদারিত্ব শুরু করেন রফিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে মেঘনা নদীর ইসলামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর জায়গা দখল করে সিমেন্টের ব্লক ও পাথর সরিয়ে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা করছে। যেখানে অর্ধশত সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন জাপা নেতার ছেলে শাহাদাত হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আলী আকবরের ছেলে জসীমউদ্দিন, ঝাউচর গ্রামের সামসুদ্দিন ওরফে আদম সামসুর ছেলে বাবু, একই এলাকার সামসুল হকের ছেলে বিল্লাল।
তবে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এ কাজের সাথে জড়িত না। তবে আমার ছেলে একটি কোম্পানির কার্যাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বাধা দেওয়ার পর মীমাংসার জন্য কাজ বন্ধ রেখেছে।
অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নিউজ করে কোন লাভ নেই! কোম্পানি থেকে কাজ নিয়ে আমরা কাজ করছি।’ তবে নদী দখলের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনভাবেই নদীর জায়গা দখল করতে দেওয়া হবে না। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।