সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নির্যাতিত বিএনপির কর্মী ইসমাঈল নামে একজনের বাড়িতে ঘর তোলার জন্য টিন ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বিতরণ করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আজাদের গাড়ি ভাংচুর ও কর্মীদের তিনটি মটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ এবং ৫টি মটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুরা এলাকায় যান নজরুল ইসলাম আজাদ। প্রথমে বিএনপির কর্মী ইসমাঈলের বাড়িতে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাদের পিছু নেয়। সেখান থেকে উচিতপুুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে যান আজাদ। সেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। তারপর থেকে সেখান থেকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েল হোসেনের বাড়িতে গেলে একই সময়ে বেলায়েত হোসেন ও জুয়েল হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা এই ঘটনা ঘটায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, উপজেলার কৃঞ্চপুরা এলাকায় দলীয় কর্মীসভা চলছিল। তার অভিযোগ, তাদের কর্মীসভা চলাকালীন দুপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। প্রাইভেট কারসহ ছয়টি যানবাহন ভাংচুর করে এবং ১৭টি মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুঁড়িয়ে দেয়। বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। শফিকুল ইসলাম শরীফের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আজাদসহ অন্তত ১৫ আহত হয়েছেন। বিএনপি নেতা আজাদের অভিযোগ, স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার আলামত পেয়েছে তবে হামলাকারিদের কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদ অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সরকারি সফর আলী কলেজের ভিপি পরিচয়দানকারী শফিকুল ইসলাম শরীফ দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকেলে বৈলারকান্দিতে একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে গালাগাল করে। এ খবর পেয়ে দলের নেতাকর্মী ও তার বন্ধুরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা চলে যান। গাড়ি ভাঙচুর, মোটরসাইকেল পোড়ানো ও লুটের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।