সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন রশিদুর রহমান রশু। তবে দুই মামার রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়ায় মহানগর যুবদলের নেতৃত্বস্থানীয় পদ ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেননি তিনি। অবশেষে মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদ ভাগিয়ে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার।
একই সঙ্গে মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটি বাতিল ঘোষণা করার পর মহানগর যুবদলের নেতৃত্বে আসার আলোচনায় রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
জানাগেছে, সভাপতি পদে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন মন্তুর নেতৃত্বে গঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি বাতিল করা হয়েছে। গত বুধবার ১৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত কেন্দ্রীয় যুবদলের প্যাডে মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটি বাতিল করা হয়।
কমিটি বাতিলের পর মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব কাদের হাতে ওঠতে পারে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনায় যুবদলের নেতাকর্মীরা। এই আলোচনায় একই সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতারাও। অনেকেই চাচ্ছেন মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে ঢুকে যেতে।
এই আলোচনায় সবার আগে নাম ওঠে আসছে এক সময়কার তুখোর ছাত্রদল নেতা শাহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও মাজহারুল ইসলাম জোসেফের মত নেতাদের নাম। কারন হিসেবে কর্মীরা বলছেন, এদের হাতে মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব ওঠলে মহানগর যুবদলের দৈন্যদশা লাঘব হবে।
অন্যদিকে মহানগর ছাত্রদল থেকে মহানগর যুবদলে আসা রশিদুর রহমান রশু এতদিন ছিলেন জটের মাঝে। কারন মহানগর যুবদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তারই মামা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। যে কারনে মামার মতামতকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে এবং মামাকে সুযোগ দিতে গিয়ে মহানগর যুবদলের শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে নামেননি তিনি। তবে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
একইভাবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকার ও খোরশেদকে পাশ কাটিয়ে রাজনীতিতে শীর্ষ পদে আসার লড়াইয়ে নামেননি রশু। খোরশেদের কমিটি বাতিল ঘোষণা করার পর শীর্ষ পদের লড়াইয়ে অবশেষে রশুর হাতে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে শীর্ষ পদে লড়াইয়ে ইতিমধ্যে নেমে গেছেন মহানগর যুবদলের বাতিল কমিটির বেশকজন নেতা।
এই লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর যুবদলের বিগত কমিটির সহ-সভাপতি আহাম্মদ আলী, জুয়েল প্রধান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু। এদের ছাড়াও আরো বেশকজন নেতা ইতিমধ্যে আলোচনায় রয়েছেন যারা কমিটি বাতিলের পর থেকেই কেন্দ্রে যোগাযোগ শুরু করেছেন।